মা ও শিশু মৃত্যুর হার রোধে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : চুমকি

361

গাজীপুর, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ (বাসস) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বর্তমান সরকার মা ও শিশু মৃত্যুর হার রোধে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারে বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। আমরা শিশুর পুষ্টি ও মায়েদের স্বাস্থ্যের প্রতিও দৃষ্টি রাখছি।
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার বলদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (পঞ্চম পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে শিশু মেলা-২০১৮ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, জন্মনিবন্ধন খুবই প্রয়োজন। জন্মনিবন্ধন থাকলে আরেকটা সুবিধা হলো ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। নারীদের উপর যে নির্যাতন হয়, সেটা বাল্য বিয়ের কারণেই বেশি হয়।
১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে লেখাপড়াটা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত বাচ্চা লালন-পালন কীভাবে করে সেটা জানার আগেই মা হয়ে যায়। নতুন পরিবারে কাজ-কর্ম কিছু করতে পারে না। প্রথমে ভালোবাসা দেখিয়ে বিয়ে করে নিয়ে যায়। পরে সংসারে সৃষ্টি হয় নানা অশান্তি।
তিনি বলেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জে নারীদের জন্য একটা মার্কেট হচ্ছে। সেখানে নারীরা বেঁচাকেনা করবে। মায়েরা ভালো থাকলে, শিশুরা ভালো থাকবে। মায়ের মনে যদি দুঃখ থাকে, মায়ের হাতে যদি অর্থ না থাকে, তাহলে তিনি শিশুর অনেক চাহিদা পূরণ করতে পারেবেন না। এ জন্য মাকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে হবে। শিক্ষা-দীক্ষায় নিজেকে তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ জন গৃহহীনকে গৃহের চাবি হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী। এ প্রকল্পের আওতায় আরো ১৩০ জনকে আগামী এক মাসের মধ্যে গৃহের চাবি প্রদান করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী তার নিজস্ব তহবিল থেকে বাড়িয়া ইউনিয়নের ৭টি পূজামন্ডপে নগদ ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।
দুইদিন ব্যাপী এ শিশু মেলায় সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। মেলায় পাঁচটি স্টলে শিশুদের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, তাদের ওজন ও উচ্চতা মাপা এবং দৃষ্টি শক্তি পরিমাপ করা হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসাইন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার রাহাত হাসনাত, বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান শুকুর, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।