কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য

275

কক্সবাজার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : আজ এখানে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গারা আসার কারণে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৫ লাখের বেশি। প্রতি মাসে এই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, এই বর্জ্য উৎপন্নের কারণে কক্সবাজারের পরিবেশের উপর প্রতিকূল প্রভাব ও স্থানীয়রা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আজ কক্সবাজারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘কঠিন বর্জ্য এর টেকসই সমাধান: রোহিঙ্গা সংকটের স্থানীয় উদ্যোগ’ শীর্ষক সভায় বক্তারা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপেট্রিয়েশন কমিশনের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত সচিব ও কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, এম্বেসী অব সুইডেনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মার্সেলা লিজানা ববদিল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহেদুল ইসলাম, আই এস সি জি’র সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর আনিকা স্যান্ডল্যান্ড, ইউএনডিপির প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ আরিফ আব্দুল্লাহ খান বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অতি জরুরি। রোহিঙ্গারা আসায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে, যার কোন সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউএনডিপি এর এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। সরকার এজন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত।
সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, প্রায় সাত লাখ শরণার্থীর জন্য বাংলাদেশ সরকার তার দরজা খুলে দিয়ে উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, কিন্তু এর ফলে নানা ধরনের সংকটেরও উদ্ভব হচ্ছে, যার মধ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এতদিন উপেক্ষিত ছিল। কক্সবাজারকে পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত রাখার জন্য সুইডেনের সহযোগিতায় আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি ।
এর আগে সভায় ইউএনডিপির সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ ফয়সাল রিদওয়ান মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউএনডিপি ও সুইডেন যৌথভাবে ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ।