ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটি গোষ্ঠি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে : বিজিএমইএ

371

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ বিষয়টি মেনে নিয়েছে। কিন্তু কিছু শ্রমিক নেতা, এনজিও ও দুষ্কৃতিকারী বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পোশাক শিল্পখাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে শিল্প মালিকরা ক্রেতা, শ্রমিক, সরকারসহ সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পোশাক শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা অনেক প্রতিকূলতা ও ব্যবসায় কষ্ট থাকার স্বত্তেও নতুন মজুরি কাঠামো মেনে নিয়েছি এবং নতুন এই মজুরি কাঠামো প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- কিছু মুষ্টিমেয় শ্রমিক নেতা, এনজিও ও দুষ্কৃতিকারী এ বিষয়ে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে এবং নিরীহ শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে শিল্পখাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে ক্রেতা, শ্রমিক, সরকার সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন’ নামের একটি সংগঠন আংশিক সত্য, বিকৃত ও ভুল তথ্য সম্বলিত প্রচারপত্র জনসাধারণের মাঝে বিলি করেছে। নতুন মজুরি কাঠামোতে মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য ভাতাদি আগের তুলনায় বৃদ্ধি করেছে।অথচ তাদের প্রচারপত্রে মজুরি বৃদ্ধি পায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১০-১৮ সাল পর্যন্ত পোশাক শিল্পের মজুরি বৃদ্ধির হার ৩৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরপরও কিছু শ্রমিক নেতা মজুরি বৃদ্ধি পায়নি, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ খাতকে অস্থির করার চেষ্টা করছে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কারখানা সংস্কার, মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ২০১৪-১৮ সাল চার বছরে প্রায় ১২শ’ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন মালিকদের জন্য চ্যালেঞ্চ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মজুরি বোর্ডের ঘোষণা অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকদের নির্ধারিত ন্যূনতম ৮ হাজার টাকা মজুরির মধ্যে-বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা; বাড়ি ভাড়া ২০৫০ টাকা; চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা; যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা।
শ্রমিক সংগঠনগুলো ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি করেছিল। এর বিপরীতে পোশাক শিল্প মালিকরা ৬ হাজার ৩৬০ টাকার ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করেন। মজুরি বোর্ড সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করেছিল সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান,মঈনুদ্দিন আহমেদ ও মাহমুদ হাসান খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/আরআই/১৮২০/আরজি