শিগগিরই শিশু আইন পাস হচ্ছে : মেনন

287

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, শিশু আইন-২০১৩ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। শিগগিরই তা সংসদে পাস হবে।
আজ রাজধানীর ইত্তেফাক ভবন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা ও উন্নয়ন : এসওএস শিশু পল্লীর ভূমিকা’-শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ইত্তেফাকের সিনিয়র স্টাফ রির্পোটার আসিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশে এর ন্যাশনাল ডিরেক্টর গোলাম আহমেদ ইসহাক।
ইত্তেফাকের নগর প্রতিবেদক আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সনদ গ্রহণের ১৫ বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন করে গেছেন। ২০১৩ সালে এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কিছু অসংগতি দেখা দেয়ায় ইউনিসেফসহ শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা কিছু সংগঠনের পরামর্শে শিশু আদালত এর বিষয়টি পুনঃসংস্কারসহ আইনটি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা বিচারব্যবস্থা করতে হবে। শিশু আইনে যে বয়সের শিশুদের কথা উল্লেখ রয়েছে তারা ছাড়াও সবধরনের শিশুর জন্য তাদের উপযোগী পরিবেশে এই আদালত গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন,বর্তমানে সারাদেশে ৮৫ টি সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে। বেসরকারি যেসব এতিমখানা রয়েছে তাদের জন্য একটা নীতিমালা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এসব এতিমখানাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাদের স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে যাতে তারা মূল শিক্ষা¯্রােতের সঙ্গে সংগতি রেখে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে এ ব্যাপারে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সামাজিক ও পারিবারিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের দেশ শিশুবান্ধব। শিশু রক্ষার ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ নেই। তবে, বিশ্বের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের কারণে আজকে শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
মন্ত্রী বলেন, শিশুসুরক্ষার বিষয়ে যে ধরনের কাজ হয়েছে তা অপ্রতুল। তবে বর্তমান সরকার শিশুবান্ধব। তাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশও শিশুর নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় শিশুদের উন্নয়নে সরকার নানা কার্যক্রমগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার হ্রাস পেয়েছে। এখন শতকরা ৫২ শতাংশ কন্যাশিশু এবং শতকরা ৪৮ শতাংশ ছেলেশিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তাদের বছরের প্রথমদিনেবই বিতরণ ও উপবৃত্তির দেয়াসহ বিভিন্নকার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসওএস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশের ফোকাল পারসন ও পরিচালক চায়না রানী সাহা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের অধ্যাপক ড.এএসএম অঅতীকুর রহমান,বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান, ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশান এর বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহেড়ীন,বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান ড.খাজা শামসুল হুদা,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপÑপরিচালক এম.রবিউল ইসলাম,বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন, সেভ দি চিলড্রেনের শিশুরক্ষা(ম্যানেজার) একরামুল কবীর।