বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের’ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

148

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পদ্মাসেতু-রেল
‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের’ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে সকাল এগারটার দিকে মাওয়ায় পৌঁছান। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর নামফলক এবং মাওয়া অংশে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর কাজের ৬০ শতাংশ অগ্রগতি উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি মাওয়া-কান্দিপাড়া-জসোলদিয়া এলাকায় ১ হাজার ৩০০ মিটার নদীতীর স্থায়ী সুরক্ষা কাজের উদ্বোধন করেন।
এই সেতু নির্মাণে অনুমিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং এর মধ্যে এই পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৭২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, সেতুর নির্মাণ কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর সার্বিক অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং মূল সেতুর দৃশ্যমান অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
তারা বলেন, সেতুর ৫ম স্প্যান স্থাপন করায় সেতুর মূল কাঠামোর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সেতুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপাদানে নির্মিত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেন, সেতুটি স্টিল এবং কনক্রিট কাঠামোয় তৈরি হচ্ছে এবং যানবাহন উপরের ডেক দিয়ে এবং রেল নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে।
সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণাঞ্চলীয় ১৯ জেলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা (যাত্রাবাড়ী)-মাওয়া এবং পাছচর-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এই প্রকল্প ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে অনুমোদন করা হয়।
৫১ কিলোমিটার হাইওয়ে আধুনিক যান চলাচলের ডিজাইনে দুইলেন থেকে ৪ লেনে উন্নীত করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৮৫২ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। এতে হাইওয়ের উভয় পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত পৃথক লেন এবং হাইওয়ের মাঝখানে ৫ মিটার প্রশস্ত সড়কদ্বীপ রয়েছে। এই সড়কদ্বীপ ব্যবহার করে মেট্রো রেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি ৫৪টি কালভার্ট, ২০টি আন্ডারপাস, ৪টি ব্রিজ, ২৫টি ছোট ব্রিজ, ৫টি ফ্লাইওভার, ২টি ক্রসিং, ৪টি রেলওয়ে আন্ডারপাস রয়েছে। এসব সুযোগ-সুবিধা যুক্ত হওয়ার পর এটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে মাওয়া টোল প্লাজা সংলগ্ন মাওয়া গোলচত্বরে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর জাজিরা অংশ পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে প্রথমে সেতুর অগ্রগতির কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে তিনি রেল সংযোগ (জাজিরা অংশে) কাজের উদ্বোধন করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শিবচর যাবেন এবং শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়িতে ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।
বাসস/এসএইচ/অনু-এমএবি/১৫২৫/আরজি