নড়াইলে চিত্রশিল্পী সুলতানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

357

নড়াইল, ১০ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শহরের মাছিমদিয়ার এস এম সুলতান শিশু স্বর্গে সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে শিশুস্বর্গে কোরআনখানি, শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশিদ, বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আজিম উদ্দিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট তৎকালিন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা, পাখির কলকাকলীতে ভরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পী এস এম সুলতান। তার পিতা মোঃ মেছের আলি মাতা মোছাঃ মাজু বিবি। চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে পিতা মাতা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। চিত্রশিল্পী এস, এম, সুলতানের ৭০ বছরের তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সাথে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন “পাট কাটা”, “ধানকাটা”, “ ধান ঝাড়া”, “ জলকে চলা”, “ চর দখল”, “গ্রামের খাল”, “মৎস্য শিকার”, “গ্রামের দুপুর”, “নদী পারা পার”, “ধান মাড়াই”, “জমি কর্ষনে যাত্রা”, “মাছ ধরা”, “নদীর ঘাটে”, “ধান ভানা”, “গুন টানা”, “ফসল কাটার ক্ষনে” , “শরতের গ্রামীন জীবন”, “শাপলা তোলা” মত বিখ্যাত সব ছবি।
কালোর্ত্তীন এ চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আটির্ষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয় ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।