ভোলায় ফসলের পোকা-মাকর দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে

513

ভোলা, ৭ অক্টোবর, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় কৃষকদের মাঝে ফসলের পোকা-মাকর দমনে পার্চিং পদ্ধতি’র ব্যবহার বাড়ছে। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ও প্রকৃতি রক্ষায় এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জৈব বালাই দমন পদ্ধতিতে ফসলের ক্ষেতে গাছের ডাল পুতে দেয়া হয়। ফলে সেই ডালে এসে পাখি বসে ফসলের পোকা ও ডিম খেয়ে থাকে। তাই পোকা দমনের জন্য কৃষকদের ওষুধের টাকা এখন আর গুণতে হয় না। বিষমুক্ত হওয়ায় উৎপাদনও বেড়েছে কয়েকগুন।
কৃষকরা জানান, কিছুদিন আগেও তাদের ফসল রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহারের জন্য বাড়তি টাকা খরচ হতো। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তো অন্যদিকে ফসলের ভালো উৎপাদন নিয়েও চিন্তিত ছিলেন তারা। কিন্তু বর্তমানে কৃষি অফিসের পরামর্শ আমন ক্ষেতে ক্ষতি কারক পোকা দমনে জৈব বালাই দমন পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তারা। পোকা দমনে সহজ এ পদ্ধতিতে যেমনি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তেমনি তাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি, ক্ষেতে একটু পর পর গাছের ডাল পুতে দেয়া হয়। একটু পর সেখানে পাখি এসে বসে পোকা খেয়ে ফেলার জন্য। তুলাতুলীর কৃষক রহমত শেখ, মফিজ আলী ও শরিফ মাঝি বলেন, এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে কোন টাকা লাগেনা। সাধারনত যে কোন গাছের ডাল ক্ষেতে পুতে দিলেই হয়। পাখিই পোকা দমনের সব কাজ করে দেয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যূঞ্জয় তালুকদার বাসস’কে বলেন, এ বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এ সম্পূর্ণ জমিটাতেই শতভাগ পাচিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে পাখি সকল পোকা খেয়ে ফেলে। এছাড়া বোরোধানসহ সকল ধান ক্ষেতেই এখন পার্চিং করা হয়।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিদের্শে জেলায় শতভাগ পার্চিং ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছি, এ পদ্ধতি অনেক সহজ ও পরিবেশবান্ধব। কৃষকদের আমরা এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।