ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে স্বপ্নের ভৈরব সেতু

344

যশোর, ৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : জেলার শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়াবাসীর স্বপ্নের সেতু ভৈরব চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই চালু হতে যাচ্ছে। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পূর্বক তা সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এ লক্ষ্যে সেতুটির বাকি ৫ ভাগ কাজসহ দুই পাড়ে চলছে রাস্তা নির্মাণের কাজ। উভয়পাড়ের ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের ব্যয় আর বাড়ছে ৭ কোটি টাকা। সেতু পাড়ের গাছ-গাছালি, বাড়ি-ঘর সরানোর ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছরেই চলাচল করতে পারবে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫ ভাগ কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যেই সমাপ্ত করার লক্ষ্যে অবিরাম গতিতে কাজ করে চলেছে ব্রিজ নির্মাণ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওয়াপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মশরহাটি এবং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া এলাকায় নির্মিত হচ্ছে অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের এ ভৈরব সেতু। বর্তমান সরকারের এলজিইডি মন্ত্রণালয় ভৈরব সেতু নির্মাণে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে এ সেতু। ৭০২.৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতুর প্রস্থ হচ্ছে ৮.১ মিটার। ভৈরব সেতুটি নির্মাণ করছে ম্যাক্স র‌্যাংকিং জয়েন্ট ভেঞ্চার নামক এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুল ইসলাম জানান- এ বছরের জুন মাসের মধ্যেই শেষ হবে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ। এছাড়া সেতুটির দুই পাড়ে ৩কিলোমিটারের রাস্তার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ইতোমধ্যে রাস্তা নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ৭ কোটি টাকা। তাই আশা করছি, এবছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের জুন মাসে শুরু হয় এ সেতুর নির্মাণ কাজ। মাঝপথে জমি অধিগ্রহণের জন্য কিছুটা বিলম্ব ঘটে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ভৈরব সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৫টি পিলারের (কলাম) উপর দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের এ সেতুটি। সেতুটি নির্মাণের ফলে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। সেতুর পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা, পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল ওয়াদুদ জানান- আমাদের স্বপ্নের ভৈরব সেতুটি নির্মিত হলে আমাদের পশ্চিম পাড়সহ পূর্ব পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ লাঘব হবে।
উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক আলী আকবর বিশ্বাস ও বাবলু রায় বলেন, সেতুটি চালু হলে রাজধানী ঢাকায় যেতে লাগবে আমাদের ৩ থেকে ৪ঘন্টা। তাছাড়া সেতুটি চালু হওয়ার সাথে সাথে বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়াসহ নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।