বাসস দেশ-১৮ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে বিরোধীদের দাবি নাকচ করলেন জয়

428

বাসস দেশ-১৮ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
জয়-রাজনীতি-ভাষ্য
গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে বিরোধীদের দাবি নাকচ করলেন জয়

জয় উল্লেখ করেন যে বিএনপি’র কিছু লোক মনে করে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তারা তা করতে পারবে না। আর কিছু ভাষ্যকার তার মুক্তি দাবি করছে। এমনকি তাকে মুক্তি দেয়া না হলে নির্বাচন বানচাল করতে তারা রাস্তা দখল করে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তেমনটি ঘটলে বাংলাদেশের কষ্টার্জিত আইনের শাসনের প্রতি অটলতার পরাজয় ঘটবে।’
তিনি উল্লেখ করেন এতিমদের জন্য রাখা আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ চুরি করার জন্য খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদন্ড হয়েছে।
জয় বলেন, তার বিরুদ্ধে আরো ১৯টি অভিযোগ বিবেচনাধীন রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতি সংক্রান্তÍ। স্বাধীন দুর্নীতি কমিশন এ মামলা করেছে। বাকি ১৪টি ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও সংক্রান্ত।
জয় বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এর কয়েকটি এতিমদের আড়াই লাখ মার্কিন ডলার তসরুপের জন্য।
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্ট তারেক রহমানকে মানি লন্ডারিংয়ের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। এই মামলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোন আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিআই-এর একজন এজেন্টের সাক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এছাড়া জয় বলেন, তারেক রহমান ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায়ও অভিযুক্ত হয়েছে। এই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ ৩শ’ জন আহত হন। বিএনপি’র অন্য অনেক নেতার মতো তারেক রহমানও সাজা এড়াতে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘সেই অনুপস্থিতি আসলে একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতি। এটি কিছুতেই গোটা দলের জন্য ভোটারদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার অজুহাত হতে পারে না।’
জয় আরো বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং তারা এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যার জন্য তারা এখন অনুতাপ করছে। সেই পরিহাস আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তা মুছে যাবে না।’
নিবন্ধের উপসংহারে জয় বলেন, ‘তারা (জনগণ) ভাল করে জানে। তারা ভালো কিছু পাওয়ার দাবি রাখে।’
বাসস/অনু-এইচএন/২০১০/-আসচৌ