স্বদেশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক ত্যাগ

575

নিউইয়র্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)-র ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষে সপ্তাহব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। তাঁকে বহনকারী বিমানটি লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ২০ মিনিটে জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
ব্রিটেনের রাজধানীতে ১০ ঘণ্টার বেশি যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশে সময় আজ রাত ১১টা ২০ মিনিটে) ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন।
সোমবার সকালে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং ওই দিন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইউএনজিএ-এর ফাঁকে শেখ হাসিনা ডাচ রানী ম্যাক্সিমা এবং এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্সটি কালজুলাইদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প-এর দেয়া অভ্যর্থনায় যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বিশ্বের মাদক সমস্যা সংক্রান্ত সমস্যাসহ বেশ ক’টি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা মার্কিন চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহন করেন। এগুলো হচ্ছে: বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস)-এর ‘ইন্টার ন্যাশনাল এচিভমেন্ট এওয়ার্ড’ এবং নিউ ইয়র্ক, জুরিখ এবং হংকং ভিত্তিক তিনটি অলাভজনক ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল ডিস্টিংশন এওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ এওয়ার্ড।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং তাঁর ৭৩ তম ইউএনজিএতে তার অংশগ্রহণের ফলাফল নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।