সবুজ উদ্যোগে বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে

785

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : পরিবেশ বান্ধব শিল্প, ব্যবসা এবং অন্যান্য প্রকল্পের জন্য দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নি¤œ সুদের হারে ঋন দেওয়ায় সবুজ উদ্যোগে বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের দৈনন্দিন বানিজ্যিক এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমে ‘গ্রিন ব্যাংকিং’কে অর্ন্তভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিনমাসে পূর্বের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিনমাসের তুলনায় সবুজ উদ্যোগে বিনিয়োগ ৮ দশমিক ৯ শতাংশ অথবা ২ হাজার ১৪৫ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এ খাতে মোট ২৪ হাজার ৯২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টাকা এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৩৭ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ৫৭টির মধ্যে ৩১টি ব্যাংক এবং ৩৩টির মধ্যে ১০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত সময়ে সবুজ অর্থায়নকে গূরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রিন ব্যাংকিং-এর উপর একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। ওই নির্দেশিকা অনুসারে সকল চালু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেশে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ৫৬টি ব্যাংকের কমপক্ষে একটি অনলাইন শাখা রয়েছে এবং ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৪৬টি ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করেছে।
তিনি জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে তাদের কর্মকর্তা- কর্মচারিদের ‘গ্রিন ব্যংকিং’-এর উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ৩২টি ব্যাংক ‘গ্রিন ব্যাংকিং’-এর উপর ১১৪টি প্রশিক্ষণ কর্মর্সচির আয়োজন করেছে এবং মোট ৩ হাজার ৮৬০ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। অন্যদিকে, ছয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছয়টি প্রশিক্ষন কর্মসূচির আয়োজন করেছে এবং এতে ১৪৭ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় বাংকের নির্দেশনা অনুসারে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ করে একটি ‘জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল’ গঠন করেছে।
এছাড়াও, ইটের ভাটা থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস ও নির্দিষ্ট কিছু দূষন বন্ধে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ঋণের স্কিম চালু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কোয়ার্টারলি রিপোর্ট (এপ্রিল- জুন) অনুসারে, তদারকি ও যথাযথ নীতিগত উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে।