আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত জাজিরার কৃষকরা

521

শরীয়তপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার শস্য ভান্ডারখ্যাত জাজিরা উপজেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শীতকালীন আগাম সবজি চাষ ও পরিচর্যার কাজে। আগাম সবজি আবাদে তুলনামুলক বেশি দাম পাওয়া যায় বলে জাজিরার কিছু কিছু অঞ্জলের কৃষকরা প্রতি বছরই আগাম সবজি আবাদ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালো ফলনেরও আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জাজিরা উপজেলা কৃষি বিভাগ বাসস’কে জানায়, এ বছর জাজিরা উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে ২’শ ৫০ হেক্টরে। এর মধ্যে রয়েছে লাল শাক, বেগুন, করলা, শশা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনে পাতা, সীম,ধুন্ধলসহ নানা জাতের সবজি।
বর্ষার পানি জমি থেকে নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই অন্যান্য বছরের মতো এবারও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগাম শীতকালিন সবজি আবাদ করেছেন জাজিরার কৃষকরা। তবে এবার বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে গত বছরের তুলনায় ১৫-২০ দিন বিলম্ব হয়েছে বলে বলছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনকূলে থাকায় এবং সার-বীজ সহজলভ্য হওয়ায় সবজির চারার অবস্থা অনেকটাই সতেজ। তাই কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি না হলে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাসার গ্রামের কৃষক মো: কামাল খান বলেন, আমরা প্রতি বছরই বেশি দাম পাই বলে শীতকালীন আগাম সবজি আবাদ করি। গত মৌসুমে ১ বিঘায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে বেগুন আবাদ করে খরচ বাদে লাভ করেছিলাম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তাই এবার দুই বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। সার-বীজ সহজে পাওয়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির চারার অবস্থা খুবই ভালো মনে হচ্ছে। কোন প্রাকৃতিক সমস্যা না হলে কাংখিত ফলনের আশা করছি।
একই উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের খানকান্দি গ্রামের কৃষক সোহেল খান বলেন, এবার বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে গতবারের চেয়ে ১৫-২০ দিন দেরি হয়েছে। আবাদে কিছুটা দেরি হলেও এবার সবজির চারার অবস্থা খুবই ভালো আছে। তাই আশা করছি ফলনে তেমন হেরফের হবে না এবং আমরা লাভবান হতে পারবো।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নানা পরামর্শ সহ কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগাম শীতকালীন সবজিতে উপজেলার কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।