মানবিক গুণাবলীর অগ্রগতিতে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্পূর্ণতা পায় : সংস্কৃতি মন্ত্রী

652

নাটোর, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মানুষের মানবিক গুণাবলীর অগ্রগতির মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পূর্ণতা পায়। এজন্যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অন্তরের সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে নাটোরের কানাইখালী পুরনো ষ্টেডিয়াম মাঠে তিনদিন ব্যাপী চলনবিল আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধিত হচ্ছে। উন্নয়নের জন্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশে সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিকদের পাশে থাকা উচিৎ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুণী মানুষের সাহচর্যে থাকতেন। তিনি সব সময় বই পড়তেন, সংকটের সময় রবীন্দ্র নাথের বই পড়তেন।
নূর বলেন, ছোট্র বাচ্চাদের পড়াশুনার চাপে জীবনকে বিপন্ন না করে তাদেরকে ছবি আঁকা, আবৃত্তি, খেলাধূলা, গান-বাজনা চর্চার সুযোগ করে দিয়ে সাংস্কৃতিবান ও জ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই মাদকমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সফল হবে।
মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই ৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে, বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছে, ৬৪ জেলায় বোমা হামলা চালিয়েছে, অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, হলি আর্টিজেনে হামলা চালিয়েছে, শোলাকিয়ায় সন্ত্রাস করেছে। এসব কাজের সাথে যারা জড়িত-এমন সন্তান আমরা চাইনা। আমরা চাই সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের সন্তানরা সুসন্তান হোক।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এম.পি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সহ সভাপতি আমিনুল হক বাবুল, উৎসব কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট খগেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ।
“সংস্কৃতির শেকড় সন্ধানে-আঞ্চলিক ঐতিহ্যের মেলবন্ধন”-এই শ্লোগানে তিনদিনের এই উৎসবে শত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার সাংস্কৃতিক দলসমূহ আঞ্চলিক গান, যাত্রা, নাটক, গম্ভীরা, বারসিয়া গান, নৃত্য পরিবেশন করবে।