বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি) : মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

349

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-জাতিসংঘে ভাষণ
মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ বছরে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে ৫৪টি মিশনে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১০ জন শান্তিরক্ষী প্রেরণের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি রক্ষায় বিশেষ অবদান রেখেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের ১৪৫ জন শান্তিরক্ষী জীবনদান করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১০টি মিশনে ১৪৪ জন নারীসহ বাংলাদেশের মোট ৭ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী নিযুক্ত রয়েছেন। আমাদের শান্তিরক্ষীগণ তাঁদের পেশাদারিত্ব, সাহস ও সাফল্যের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
‘নিরাপদ, নিয়মিত ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসন বিষয়ক ‘গ্লোবাল কমপ্যক্ট’র মূল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আরও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং মানবাধিকার কেন্দ্রিক একটি কম্প্যাক্ট প্রত্যাশা করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অভিবাসন বিষয়ক এই কম্প্যাক্ট অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় একটি ক্রমঃপরিবর্ধনশীল দলিল হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদসহ সকল সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূখ-ে প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থবিরোধী কোন কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমরা পরিচালিত হতে দিব না।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আমাদের ‘জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’
সহিংস উগ্রবাদ, মানবপাচার ও মাদক প্রতিরোধে আমাদের সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করার নীতি বিশেষ সুফল বয়ে এনেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গৃহীত ‘গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অন দ্যা ড্রাগ প্রবলেম’-এর সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা ঘোষণা করেছে বলেও তিনি জানান।
তাঁর সরকারের উন্নয়ন নীতিমালার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনকল্যাণমুখী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করে চলেছি।’ তাঁর সরকারের সাড়ে ৯ বছরের শাসনে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে, বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে আমরা জনগণের সকল প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট রয়েছি।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের বিবেচনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরে ছিল শতকরা ৭ দশমিক ৮৬ ভাগ। মূল্যস্ফীতি বর্তমানে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের শতকরা ৪১ দশমিক ৫ ভাগ থেকে শতকরা ২১ দশমিক ৪ ভাগে হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে হত দরিদ্রের হার ২৪ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বৈশ্বিক মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যাত্রা শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের এই যাত্রাপথ আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পরিকল্পনার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, যা আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাঁর সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়নে পুরোপুরি অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তাঁর সরকার দেশে ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করছে যা প্রায় এক কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক এবং অপরিসীম সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর রেয়াত, দ্বৈতকর পরিহার, শুল্কছাড়সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের যৌথ উদ্যেগে ১১টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে তিনি বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের কাছে পানির যথাযথ মূল্যায়ন, ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং এ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ বাস্তবায়নে তাঁর সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে, বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশন এবং ৮৮ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছেন।
তাঁর সরকারের দারিদ্র বিমোচনের অন্যতম পদক্ষেপ, সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ৬৫ লাখ বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা বা স্বামী পরিত্যাক্তা নারী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন।
সরকার উদ্ভাবিত দারিদ্র বিমোচনের আর্থ-সামাজিক পদক্ষেপসমূহ বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গৃহহীন নাগরিকমুক্ত বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপ সমূহের উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধাসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
মাত্র একশ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখ-ে ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে প্রভূত অগ্রগতি অর্জন করেছি। মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে ১৭০ এবং পাঁচ বছর বয়সের নীচে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৮-এ হ্রাস পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ প্রকারের ঔষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক হতে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ৪ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ১৯৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই বিতরণ করা হয়েছে। দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের মাতৃভাষার বই দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক হতে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ১ কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে। শিক্ষার হার গত সাড়ে ৯ বছরে ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২র দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক হল নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ। নারী শিক্ষার উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন আমরা নিশ্চিত করেছি।
তিনি বলেন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনাবেতনে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীর অনুপাত ৫৩:৪৭। ২০০৯ সালের শুরুতে যা ছিল ৩৫:৬৫।
বাংলাদেশের কৃষি, সেবা ও শিল্পখাতে প্রায় ২ কোটি নারী কর্মরত রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সর্ববৃহৎ উৎস তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪৫ লাখ কর্মীর ৮০ শতাংশই নারী। নারী উদ্যোক্তাদের জামানত ছাড়াই ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে ব্যাংক ঋণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তহবিলের ১০ শতাংশ এবং শিল্প প্লটের ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ৩৩ শতাংশ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সংসদই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র সংসদ যেখানে সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা, স্পিকার এবং বিরোধী দলীয় নেতা নারী। বর্তমান সংসদে ৭২ জন নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকির সম্মুখীন পৃথিবীর প্রথম দশটি দেশের একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে আমরা আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের এক শতাংশ ব্যয় করছি এবং জলবায়ু সহায়ক কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করছি।’
তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য-সুন্দরবন সংরক্ষণে ৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তাঁর সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টিতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে একীভূত করে বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ শীর্ষক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ একটি জলকেন্দ্রিক, বহুমুখী এবং টেকনো-ইকনমিক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা দীর্ঘ ৮২ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, অটিজম ও জন্মগত স্নায়ুরোগে আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে কার্যক্রমকে জোরদার করতে এ সংক্রান্ত একটি সেল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে বলেন, এছাড়া অটিজম বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি এবং জাতীয় অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির সভাপতি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাডভাইজরি প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যোগ করেন তিনি।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার মূল দর্শন জনকল্যাণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিব কর্তৃক ‘হাই লেভেল প্যানেল অন ডিজিটাল কো-অপারেশন’ প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আমরা মহাকাশ প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করেছি। বস্তুত এটি ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন প্রথমবারের মত বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ভূকেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে তিনি যে স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
বাসস/এএসজি-এফএন/এসএইচ/একেএইচ/১৪.৪৩/আরজি