জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহবান স্পিকারের

417

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা এবং কর্মপন্থা নির্ধারণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে দশম এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারী পার্টনারশীপ মিটিং (আসেপ-১০) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে “ক্লাইমেট চেঞ্জ : চ্যালেঞ্জ ফর মাল্টিল্যাটারালিজম” শীর্ষক প্ল্যানারী সেশনে এ আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারী পার্টনারশীপ (আসেপ) একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট, যেখানে এশিয়া ও ইউরোপের সংসদ সদস্যগণ জলবায়ুর পরিবর্তনের জটিল ও বিরূপ প্রভাবসমূহ তুলে ধরতে পারেন এবং সমষ্টিগতভাবে তা প্রতিকারের উদ্ভাবনী বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। আসেপ এর মাধ্যমে এশিয়া ও ইউরোপের সংসদ সদস্যগণ সম্মিলিতভাবে স্বোচ্চার হয়ে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে ও বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা স্থিতিশীল রেখে গ্রিণ ইকোনমী প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় কূটনীতি বিস্তারের মাধ্যমে আসেপ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসন ও এসডিজি অর্জন সহজ করতে পারে। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনসাধারণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করাই সংসদ সদস্যদের মূল দায়িত্ব। আর এ ক্ষেত্রে আসেপ এশিয়া ও ইউরোপীয় সংসদ সদস্যদেরকে একত্রিতভাবে একই কন্ঠে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে।
স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব কোন আঞ্চলিক বিষয় নয়- – ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলো হতে হবে বৈশ্বিক। এ সময় তিনি স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা এবং কর্মপন্থা নির্ধারণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাত্রায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি, ভূমি, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে–এর মোকাবেলায় বৈশ্বিক ঐক্যমতের বিকল্প নেই। এসময় বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে এর প্রেসিডেন্ট মি. অ্যান্তেনিও তাজানি, স্পেন পার্লামেন্টের ডেপুটি কংগ্রেস আনা মারিয়া পাস্তোর জুলিয়ান,মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টের স্টান্ডিং কমিটির সভাপতি ইয়োনডনপেরিলি বাটারবিলেগ, গণচীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মি. ঝ্যাং ঝিজু প্ল্যানারী সেশনে বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, সার্বজনীন প্যারিস চুক্তির সর্বোত্তম বাস্তবায়নে আসেপ কার্যকর অবদান রাখতে পারে, যা খাদ্য নিরাপত্তা, বাণিজ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করত সকল প্রকার বৈষম্য ও অসমতা নিরসন করবে।
পরে তিনি ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং এ জলবায়ুর পরিবর্তন ও এর ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।