তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

383

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে মুক্ত সমাজ গঠন ও জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে, গণতন্ত্র ও সুশাসন আরো সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তথ্য কমিশন আমাদের সরকারের এ উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘মুক্ত সমাজের জন্য উত্তম আইন : টেকসই উন্নয়নে তথ্যে অভিগমন’।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের তথ্যসেবা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই।’
তিনি বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো বিস্তৃত করতে আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছি। ফলে তথ্যপ্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ টেলিভিশন চালুর ফলে গণমানুষের কাছে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি পৌঁছানো অত্যন্ত সহজ হয়েছে, এর ফলে মানুষ যেমন জানতে পারছে তেমনি প্রশাসনেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়েছে। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এতে নির্ভুল তথ্যপ্রাপ্তি আরো দ্রুততর হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের সকল তথ্য সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং ৮ হাজার ৫০০টি পোস্টঅফিস ই-সেন্টার চালু করা হয়েছে। বৃটিশ আমলে জটিল আইনসহ চার শতাধিক আইন বাংলা ভাষায় জনবান্ধব ও সহজবোধ্য করে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নির্ভুল তথ্যপ্রাপ্তি আরো দ্রুততর হবে। ’
দিবসটি পালনে তথ্য কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্য একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। জনগণের এ অধিকারকে সম্মান দিয়ে আমরা নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ পাস করি।’
তিনি বলেন, ‘এ আইনের আওতায় আমাদের সরকার তথ্য কমিশন গঠন করেছে। ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। আমি আশা করি এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বাণীতে ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন শেখ হাসিনা।