বাসস রাষ্ট্রপতি-২ তথ্য অধিকার আইন উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে ভূমিকা রাখছে : রাষ্ট্রপতি

219

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি-তথ্য অধিকার
তথ্য অধিকার আইন উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে ভূমিকা রাখছে : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের সফল প্রয়োগ জনগণকে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোস প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রাপ্তি মানুষের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার। তথ্য জানার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আইনসমূহ সহজবোধ্য ও জনবান্ধব করে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে জনগণ দেশের আইন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছেন- যা মুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে এ বছর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ছে ‘মুক্ত সমাজের জন্য উত্তম আইন: টেকসই উন্নয়নে তথ্যে অভিগমন’ যা অত্যন্ত যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েই সরকার তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। এ আইন বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন গঠন করেছে। তথ্য অধিকার আইনের সফল বাস্তবায়নে এ আইন ও তার বিভিন্ন প্রায়োগিক ক্ষেত্র সম্পর্কে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্য কমিশন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নানা চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বাসস/তবি/এমআর/২০০৭/এবিএইচ