যশোর সদরে ৩৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৈরি হবে নতুন ভবন

370

যশোর, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) সদর উপজেলার ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাচ্ছে নতুন ভবন। আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে এসব বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
সদর উপজেলার ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ নেই। কয়েকটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সরকার নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী অর্থবছরেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো জানিয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
নতুন ভবনের জন্য নির্বাচিত বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে পুরাতন কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলেরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালঞ্চী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহিদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরইডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শানতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডহরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওসমানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেয়াড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, পতেঙ্গালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হামিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ভাতুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোপ সেবাসংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজির শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোপ নরনিংহক প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাদুল্যাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুড়ামনকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাউদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটুয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ লে. আনোয়ার হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সী মেহেরল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোঙ্গরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, শর্শুনাদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিকেজি সম্মিলনী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণিকক্ষ পাবে। পাঠদানের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
ঘোপ সেবাসংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাঈদা ইয়াসমিন জানান, তার বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ হলে ভালো হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, বিদ্যালয়গুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনগুলো নির্মিত হলে বিদ্যালয়গুলোর আঙ্গিক পরিবর্তন হবে, শিক্ষার মানও বাড়বে।