ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এগুলো দূর করতে ভারত-বাংলাদেশ একমত।
আজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাঁধাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে ৪টি বর্ডার হাট চালু রয়েছে, আরো ৬টি বর্ডার হাট চালুর বিষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নাকুগাঁও এবং ভারতের ডালু সীমান্তে একটি বর্ডারহাট অল্প দিনের মধ্যেই চালু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২১টি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ১৫টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করা হযেছে, বাকী ৬টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করতে ভারত সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৬টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। উভয় দেশের বাণিজ্য এখন ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি করছে ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করছে ৮৬১৯.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ অনেক রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করে অনেক দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। সেখানে বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। এখন ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে।
এ সময় সুরেশ প্রভু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত খুশি। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে।
তিনি বলেন, “উভয় দেশের সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। বৈঠকে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাধানের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য করতে ভারত খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহণ, ভোজ্যতেল রপ্তানির ক্ষেত্রে জটিলতা, নতুন বর্ডারহাট চালু, পাটপণ্য রপ্তানিসহ যে সকল সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবককে কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে। ট্যুরিজম ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সার্ভিস সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে।