চাঁদপুরে গ্রাম আদালতে ৩৪টি ইউনিয়নে ১৮শ ১৩টি মামলা নিস্পত্তি

244

চাঁদপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার গ্রাম আদালত বিষয়ক ত্রৈমাসিক মিটিং আজ দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রাম আদালত বিষয়ক পরামর্শ সভায় চাঁদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জাতীয় উপ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো: মাজেদুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মতলব সার্কেল রাজন কুমার দাস।
বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’ চাঁদপুর এর ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশনেন।
গ্রাম আদালত বিষয়ক পরামর্শ সভায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’ চাঁদপুর এর ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস জানান, চাঁদপুরের ৪৪ গ্রাম আদালতে ১০ টাকা ফি তে ১৮১৩ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ১৯৮৫ টি, চলমান আছে ১৭২ টি। এতে ক্ষতিপূরন আদায় করা হয়েছে ৬৮,৭৮,১২০ টাকা। গ্রামের নারী, দরিদ্র ও বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী নিজেদের মধ্যকার বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে, স্বল্প খরচে ও স্বচ্ছতার সাথে নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে চাঁদপুরের ৫ উপজেলার ৪৪ ইউনিয়নে চলছে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ।
মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে আবেদনকারী (বাদী) ও প্রতিবাদী (বিবাদী) এ আদালতে চুরি, ঝগড়া বিবাদ, কলহ মারামারি, প্রতারণা, হুমকি, নারীর শ¬øীলতাহানী, বল প্রয়োগে কাউকে জখম, ইভটিজিং, পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত, অবৈধ দখল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার, গবাদি পশু চুরি কিংবা মেরে ফেলা, গবাদি পশু কর্তৃক ফসল বিনষ্ট, কৃষক-শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি আদায় সংক্রান্ত মামলা ৩ মাসের মধ্যে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাবে।
এসব ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যের বিরোধীয় যে ইউনিয়নে মামলা হবে, সে ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি করতে পারে। গ্রাম আদালতে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও উভয় পক্ষ প্রতিনিধি নিয়োগ করতে পারবে।
তবে সভায় জানানো হয় কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে পুরোপুরি সফলতা আসছে না, সেগুলো হলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ও সদস্যগন গ্রাম আদালতভূক্ত মামলা নিজেরাই এলাকার আইন বহির্ভূতভাবে সালিস করা, প্যানেল চেয়ারম্যান দেরকে গ্রাম আদালত পরিচালনার দায়িত্ব না দেয়া, চেয়ারম্যানগন নিয়মিত আদালতে না বসা বা এজলাস ব্যাবহার না করা, ৭৫ হাজার টাকার বেশি ক্ষমতা না থাকা, গ্রাম পুলিশগন যথা সময়ে সমন জারি না করা, গ্রামের সাধারন মানুষ এখনো গ্রাম আদালতের বিচারিক কাজ সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারণে।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ‘বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প’ কমিটির কর্মকর্তারা , উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান গন, ইউএনও গন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।