মেহেরপুরে তাপদাহে বেলের চাহিদা বেড়েছে

351

মেহেরপুর, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ (বাসস) : জেলার বেল গাছে এখন বেলে ভরপুর। ডালে ডালে কাঁচা-পাকা বেল ঝুলছে। পথচারীরা মুগ্ধ হয়ে দেখছে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে এ বেল। তীব্র তাপদাহের কারণে শরীর ঠান্ডা রাখতে মেরেহপুরে বেলের শরবতের চাহিদা বেড়েছে। বহুগুণের আঁধার রয়েছে বেল-এ। কেউ কেউ দুইমাস বেল বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করে। সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের একটি বেলগাছে ভরপুর হয়ে ঝুলতে দেখা যায় বেল। চলতি মৌসুমে অন্তত এক কোটি টাকার বেল বেচা কেনা হবে বলে জেলা কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছে।
বেল আমাদের দেশের দারুন জনপ্রিয় একটি ফল। বেলে রয়েছেভেষজ গুণ। বেল পেটের নানা রকম রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে, কাঁচা বেল ডায়রিয়াা ও আমাশায় রোগে ধন্বন্তরী ওষুধ হিসাবে বিবেচিত। বেলে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম।
এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বিদ্যাদেবী সরস্বতীকে খুশি করতে বইয়ের পাতার মাঝে বেলপাতা রেখে দেন। হিন্দু ধর্মবলম্বীদের সব পূজার উপকরণ বেলগাছের পাতা। সরস্বতী দেবীর পায়ের কাছে যে পূজা দেয়া হয় সেখানে থাকে বেলপাতা। ওই বেলপাতা বইয়ের পাতায় রাখলে জ্ঞানবাড়ে বলে জানালেন সনাতন ধর্মের মুজিবনগরের শিক্ষার্থী পূজা রাণী। সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে বেল শ্রীফল নামে পরিচিত।
মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশিল চক্রবর্তী জানান, বেলপাতা বিদ্যাদান করে সত্যি তবে বইয়ের ভেতর যতœ করে রাখার মধ্যে নয়। বরং প্রতিদিন ৩-৪টি পাতা ঘিতে ভেজে সামাণ্য মিছরি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেলে ক্রমশ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে বৃদ্ধদের নয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান জানান- বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বেল চাষ না হলেও জেলায় যত বেলগাছ আছে তাতে অন্তত এক কোটি টাকার বেচাকেনা হবে।