বাসস-দেশ-১৮ : কক্সবাজারে পর্যটন বিষয়ক বিশেষ কর্মশালা

347

বাসস-দেশ-১৮
কক্সবাজার-কর্মশালা
কক্সবাজারে পর্যটন বিষয়ক বিশেষ কর্মশালা
কক্সবাজার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : কক্সবাজারে আয়োজিত পর্যটন বিষয়ক বিশেষ কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশের মতো। যা খুবই সামান্য। কিন্তু সম্মিলিতভাবে এ খাতের উন্নয়নে কাজ করলে এতে অন্তত ১০ গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
রোববার কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি সেক্টর বিকাশে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ : প্রেক্ষিত কক্সবাজার’ শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (সেইপ) প্রকল্পের অধীনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে ৫ কোটি যুব বয়েসী লোকজন আছে। যারা কর্মক্ষম জনশক্তি। কোন দেশে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি কর্মক্ষম থাকে তাহলে সেই দেশের জন্য বিশাল একটি সম্ভাবনা কাজ করে। পৃথিবীর অনেকে দেশেই ৫ কোটি জনসংখ্যা নেই। ৫ হাজার, ২০ হাজারÑএরকম জনসংখ্যারও দেশ আছে। ৫ কোটি যুবশক্তিকে যদি আমরা জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারি, আমাদের উন্নতি ঠেকায় কে?’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সেইপ প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন হেলাল।
কর্মশালায় সেইপ কর্তৃক গৃহিত কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
অতিরিক্ত সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, সেইপ-আইএসসি ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি প্রকল্পের অধীনে ২০২০ সালের মধ্যে কক্সবাজারে ৪ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুড এন্ড বেভারেজ প্রোডাকশন (কুকিং) বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে ১২০০ জনকে। ফুড এন্ড বেভারেজ সার্ভিস বিষয়ে ১৪০০ জন এবং হাউসকিপিং বিষয়ে ১৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ন্যুনতম এসএসপি পাশ করা তরুণ-তরুণী ৪ মাস মেয়াদের এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৭ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে তিন ব্যাচে এক হাজার ৫২৬ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর মধ্যে মূল্যায়ন ও প্রত্যায়িত হয়েছে এক হাজার জন। কর্মসংস্থান হয়েছে ৮০২ জনের।
কর্মশালার মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো: অহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ প্রমুখ।
বাসস/সংবাদদাতা১৯৩৫//মরপা