এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতি শক্তিশালী করতে নীতিগত ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা দরকার : তোফায়েল

722

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : কম্বোডিয়ায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এশিয়ার প্রতিটি দেশের নিজ-নিজ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে নীতিগত ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা দরকার।
তিনি বুধবার নমপেনে ফোম প্যান হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফাইনান্স, এ ডেভেলপমেন্ট অফ গ্লোবাল ভেলু চেইন শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিশ^বাজারে উন্নত মানের পণ্য তুলনামূলক কমদামে রপ্তানি করছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কম্বোডিয়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরী পোশাক, প্লাস্টিক, চামড়া ও পাটজাত পণ্য এবং তামাকসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করলে লাভবান হবে। বিশ^বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ^ অর্থনীতি ও ফাইনানশিয়াল সিসটেমে এশিয়ার দেশগুলোর শক্তিশালী অবস্থান থাকা প্রয়োজন। সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অসমতা দূরকরতে দরকার দৃশ্যমান কিছু পরিবর্তন।
কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাককে সাথে নিয়ে তিনি যৌথ ভাবে একর্মশালার উদ্বোধন করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করতো ৩৪৮ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এখন বিশে^র প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। এ সময় রপ্তানির পরিমান দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে আয় হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থে বড়-বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবার প্রথম ধাপ সফল ভাবে অতিক্রম করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে যে তিনটি বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে হয়, সে তিনটিতেই এক সঙ্গে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হতে এটি বিরল দৃষ্টান্ত।
কম্বোডিয়ার ন্যাশনাল ব্যাংক এর ডেপুটি গভর্নর আয়োক এ কর্মশালায় বৈদেশীক বাণিজ্য এবং এসএমই বিষয়ে কী-নোট উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এর ১৪০ জন ব্যাংকার্স ও ব্যবসায়ী অংশ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশের ৫২ জন ব্যাংকার্স রয়েছেন। কর্মশালার উদ্বেধনী অনুষ্ঠানের পর উভয় দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী উপস্থিত ব্যবসায়ীদের নিয়ে একঘন্টাব্যাপী বাণিজ্য বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক, স্ক্যাপের মাইক্রোপলিসি এন্ড ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন এর আলবাতো ইসগুট, সিইও কা-কি ম্যান, এবং ভিনসেন্ট ও’ব্রেইন এবং কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিসেস সাঈদা মুনা তাসনিম।