২০২১ সালে আইসিটি খাতের রপ্তানী আয় বেড়ে হবে ৫ বিলিয়ন ডলার : পলক

1285

নাটোর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগ এবং যুব সমাজের মেধার ফসল হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের রপ্তানী আয় বেড়ে হবে ৫ বিলিয়ন ডলার।
আজ শনিবার বিকেলে নাটোরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন ও সেন্টারের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার সফলতা লাভ করেছে। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া এই স্বপ্ন পূরণে অপার সম্ভাবনাময় তথ্য প্রযুক্তি খাতে আমরা নিয়োজিত করতে পেরেছি দেশের মুল চালিকা শক্তি যুব সমাজকে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত দেশের কাতারে যেতে অগ্রসরমান। এদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ অর্থাৎ ১১ কোটি তরুণ-তরুণী উন্নত বাংলাদেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ২০০৮ সালে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা-ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রণয়ন করে তথ্য প্রযুক্তি খাতে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে সরকার ২৮টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করছে। আগামী তিন বছরে এসব প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তথ্য প্রযুক্তির এই খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। তারা ডিজিটাল সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে।
পলক বলেন, দেশে মোবাইল ফোন, ফ্রিজসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি-বান্ধব সরকার এসব পণ্যের উৎপাদন কর কমানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুদিধা প্রদান করছে। শুধু উৎপাদনই নয়, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা এসব পণ্যের রপ্তানীকারক দেশে পরিণত হবো।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাজশাহী-বগুড়া ও পাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত নাটোরে দেশের প্রথম ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির কেন্দ্র স্থল হিসেবে নাটোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল সারাদেশের সাথে বিনিময় করা যাবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে নাটোর সদর-নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বক্তব্য রাখেন। নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
নাটোরের পুরনো জেলখানা ভবন এলাকায় ২ দশমিক ৫ একর জমির উপরে ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়।
এরমধ্যে রয়েছে- পুরনো জেলখানা ভবন সংস্কার করে প্রশিক্ষণ সেন্টার তৈরী ও ছয়তলা ফাউন্ডেশনের উপর নতুন দ্বিতল ভবনে ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ।
সেন্টারটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এন্ড নেটওয়ার্কিং ট্রাবলশ্যুট এবং কন্ডাক্টিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চালু করার পর ২১ টি ব্যাচে মোট ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী তাদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ইনকিউবেশনের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।