নেতায় নেতায় ঐক্য জনগণকে প্রভাবিত করতে পারবে না : কাদের

221

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতায় নেতায় ও দলে দলে যে ঐক্য সে ঐক্য জনগণের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলে না।
তিনি বলেন, ‘দলে দলে জনে জনে যে ঐক্যের কথা আসছে সে ঐক্য জনমনে কোন প্রভাব ফেলবে ? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে যাবে? আমার বিশ্বাস তাদের এ দলের সংখ্যা বাড়িয়ে, এদেশে এক সময় ৭৬টি পার্টির ঐক্য হয়েছিল। এটা কি জনমনে কোন প্রভাব ফেলতে পেরেছিল?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের আস্থা রয়েছে, বাংলাদেশের জনমত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। এই মুহূর্তে এ ধরনের ঐক্যে জনমতে কোন প্রভাব পড়বে না। নেতায় নেতায় ঐক্য, দলে দলে ঐক্য যতই হোক জনগণ প্রভাবিত হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা।
ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেনসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা থেকে বিদেশে বসে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার আত্মজীবনীতে মনগড়া কথা বলছেন।
তিনি বলেন, “তিনি সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কি পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোন প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জালা গড়ে উঠে।’
কাদের বলেন, এখন বইতে যা লিখেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তখন তা বলার সৎ সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিলো না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরানো কথা নতুন করে বলছেন, যা খুশি তাই বলছেন। এটা হয়, এটা হতেই পারে। এ নিয়ে আমরা কোন মন্তব্য করতে চাই না।’
কাদের বলেন, তিনি যদি সত্যই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশের জনগণের মাঝে এসে বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা চাপছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নেই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিএনপিকে ডেকেছিলেন বলা হয়েছিল পরে জানা গেলো, জাতিসংঘের মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ করেন নি, এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার।’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) জাতিসংঘের প্রধান ফটকে গিয়ে বারবার অনুরোধ করে তৃতীয় পর্যায়ের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তবে এটা আজকে একটা সিরিয়াস প্রশ্ন যে বিএনপি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছে, প্রতারণা করেছে। এতে দেশের জনগণকে অপমানিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে অসম্মান করা হয়েছে।
আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যাদের জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ ভুয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণও সেই রকমের ভুয়া।”