রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘ অবস্থানের কোন সুযোগ নেই : প্রধানমন্ত্রী

496

সংসদ ভবন, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোয় তাঁর সরকারের দৃঢ়প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘ অবস্থানের কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে, রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্থায়ীভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।’
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সংসদ নেতা বলেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে স্থায়ীভাবে ফেরত পাঠানোর সর্বময় কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল দেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেবল মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় আমাদের প্রশংসা করেছে এবং এই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জন্য যে বড় একটি বোঝা তাও তারা স্বীকার করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগের বিষয়েও বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন পাচ্ছে।
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে ৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন কোন দেশ প্রত্যক্ষভাবে চাপ সৃষ্টি করছে আবার কোন কোন দেশ পরোক্ষভাবে বা গোপনে চাপ সৃষ্টি করছে। এমনকি চীন এবং ভারত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইন রাজ্যে ঘরবাড়ি তৈরী করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার কতৃর্ক রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করার ইস্যুতে তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।