আগামী নির্বাচনে বিএনপি সহিংসতা করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে : ওবায়দুল কাদের

280

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত সহিংসতা ও নাশকতা করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আবার তাদের সাম্প্রদায়িক দোসর জামায়াত শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালের মত আগামী জাতীয় নির্বাচনের সামনেও নাশকতা করার ছক তৈরি করছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা ভাসতে ভাসতে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে।
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ওয়ার্কচার্জড শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়মিত করণের আদেশ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদেরকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।
সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মতলবি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে চক্রান্তের মাধ্যমে সরানোর জন্য পায়তারা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কোটা আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনে ভর করে ব্যর্থ হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে কান্নাকাটি করেছে। জাতিসংঘে আমন্ত্রণ নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছে। কারণ জাতিসংঘ বিএনপিকে কোন আমন্ত্রণ জানায় নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, গণমানুষের সরকার। এ সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে দেশের মানুষ খুশি।
কাদের বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৭ হাজার ৫৯ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়মিত করা হয়েছে ২ হাজার ২শ’ ৫৪ জনকে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে তারা নিয়মিত হয়ে যাবেন। বাকীরাও পর্যায়ক্রমে নিয়মিত হয়ে যাবে।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের ঢাকা ক্লাবের স্যামসাং এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে গাঙচিল চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গত দশ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে আসছে। তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয় নি। দশ বছরে যারা আন্দোলন করতে পারে নি দু’মাসেও তারা পারবে না।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিএনপি আন্দোলন করার স্বপ্ন দেখতেই পারে। তবে তাদের এ ধরনের স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিনিত হবে।
জাতিসংঘে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যারা ব্ল্যাকমেইলিং করতে পারে তাদের পক্ষে যে কোন ধরনের জালিয়াতি করা অসম্ভব কিছু নয়।
মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন বুলবুল, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়িকা ঋতুপর্না সেনগুপ্ত ও পূর্নিমাসহ চলচ্চিত্র কলা-কুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।