বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে পুনর্নির্বাচিত করুন : প্রধানমন্ত্রী

349

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা-উন্নয়ন
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে পুনর্নির্বাচিত করুন : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করার আহ্বান জানাই। এই প্রতীকে ভোট দিলে জনগণ লাভবান হয় এবং তাদের উন্নয়ন হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং দুটি রেলওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধনের পর পার্বতীপুর ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে উপস্থিত বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, তারা ম্যান্ডেট দেয়ায় আমরা তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-২০১৮ থেকে টানা ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২০১৮ সালেই দেশে সত্যিকার উন্নয়ন হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ৭ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, ‘আমরা মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে।’
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীত করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে চার লেন মহাসড়কগুলোতে ৬ লেনে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাঁর সরকার রেল, আকাশ ও নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার বিদেশী সংস্থার পরামর্শে রেল খাত বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিলো। ফলে রেল খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিলো। কিন্তু, আমরা পৃথক রেল মন্ত্রণালয় করেছি। মিটার গেজের স্থলে ডুয়েল গেজ স্থাপন করেছি এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করতে নতুন নতুন বগি ও ইঞ্জিন ক্রয় করেছি। বাংলাদেশের পার্বতীপুর ও ভারতের শিলিগুড়ির মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলে আর কখনো জ্বালানি তেল সংকট দেখা দেবে না।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আমরা আরো অনেক কাজ করতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পার্বতীপুরে একটি ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম সবখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই।’
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে উত্তরাঞ্চলে উত্তরা ইপিজেড স্থাপন করেছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা সারাদেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি এবং সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
ঢাকা-টঙ্গি সেকশনে ৩য়-৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন চালু হলে একই সাথে অনেক ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহন সহজ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। এসব প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় হওয়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করছে।
বাসস/এসএইচ/এইচএন/২১১২/-কেএমকে