বাসস দেশ-১০ : পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : আছাদুজ্জামান মিয়া

134

বাসস দেশ-১০
ডিএমপি কমিশনার- আশুরা
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : আছাদুজ্জামান মিয়া
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া শোক মিছিল ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পবিত্র আশুরা পালন করা হবে।
তিনি বলেন, তাজিয়া মিছিল ঘিরে সুস্পষ্ট কোন হুমকি নেই। তবে সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকি বিবেচনায় পূর্বপ্রস্তুতি রয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর বড় কাটারা ইমামবাড়া, খোজা শিয়া ইসনুসারী ইমামবাড়া এবং বিবিকা রওজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাক, গোয়েন্দা পুলিশ, বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দল ও ডগ স্কোয়াড নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া এদিন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াত টিম প্রস্তুত থাকবে বলে জানান কমিশনার।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর লালবাগের হোসনি দালান ইমামবাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল বের হবে। মিছিলটি ধানমন্ডি লেকে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি ইমামবাড়া সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে প্রত্যেক দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করানো হবে। পুলিশ ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করানো হবে। যেসব সড়ক দিয়ে শোক মিছিল যাবে সেসব সড়কে থাকবে আমাদের রুফটপ ডিউটি, রোড ব্যারিকেড ব্যবস্থা, গাড়ি ও ফুট পেট্রোলিং। মিছিলের আগে, মাঝে, পাশে ও পিছনে থাকবে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শোক মিছিলের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
তাজিয়া মিছিলে ঢোল বাজিয়ে দা, ছুরি, তলোয়ার ও লাঠিখেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এসব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১২ ফুটের বেশি বড় নিশান মিছিলে ব্যবহার করা যাবে না। আগুনের ব্যবহার করা যাবে না। মিছিলে ব্যাগ, পোঁটলা, টিফিন ক্যারিয়ার বহন করা যাবে না। অংশগ্রহণকারীদের মিছিলে ঢোকার আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লশির মুখোমুখি হতে হবে। মাঝপথে কেউ মিছিলে অংশ নিতে পারবেন না। বিবিকা রওজাসহ রাজধানীতে মিছিল যাওয়ার প্রতিটি পথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মিছিলের ও হোসনি দালানের স্বেচ্ছাসেবীদের শনাক্ত করতে আলাদা আর্ম ব্যাজ ব্যবহার করতে হবে।
কমিশনার বলেন- রাস্তার মাঝে বিভিন্ন অলি গলি থেকে তাজিয়া শোক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে হলে ইমামবাড়ায় আসতে হবে। মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সকলকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহ তল্লাশী করে শোক মিছিলে ঢুকতে দেয়া হবে। তল্লাশি ব্যতিত কোন অবস্থায় কাউকে মিছিলে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শোক মিছিলে কোন প্রকার ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, চায়ের ফ্লাক্স, পেসার কুকার, লাঠি, ছোঁড়া, চাকু, তরবারি অথবা তলোয়ার, বর্শা, ঢাক-ঢোল বাজানো, উচ্চ শব্দে পিএ সেট বাজানো, আগুন ও আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ। পোশাকে ধাতব পদার্থ, ছুরি, চাকু, ব্লেড, তলোয়ার প্রভুতি ব্যবহার করা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শোক মিছিলের সাথে প্রস্তুত থাকবে ফায়ার টেন্ডার, জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা ও এ্য্ম্বাুলেন্স। বিশেষ প্রয়োজনে প্রস্তুত থাকবে আমাদের সোয়াত, ক্রাইম সিন ইউনিট ও বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিট।
বাসস/এফএইচ/১৮১৪/কেজিএ