উগ্র ও ভূয়া কনটেন্ট তৈরিতে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত : হানিফ

565

ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রতা, ভূয়া কনটেন্ট তৈরির পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত।
তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কওমী মাদরাসা কোনভাবেই জড়িত নয়।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ দুপুরে রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক পাড়ার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভূয়া কনটেন্ট : চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
ড.মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।
আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন কানাডিয়ান হাই কমিশনার বিনয় প্রিপটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড.গোলাম রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমূখ।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল তার সুবিধাভোগী হলো বিএনপি জামায়াত।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়াত সহযোগিতা করেছে আর লন্ডন থেকে ফোন করে উস্কানীও দেওয়া হয়েছে।
মাদরাসার ছাত্ররা কোন উগ্রবাদী দলের সঙ্গে বা কর্মকান্ডে জড়িত নয় বলে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল যারা উগ্রবাদী কর্মকান্ডের পর রাজনৈতিক সুবিধা পায়, তারাই এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানীতে আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনার সুবিধাভোগী কারা তা বের করতে হবে। তাহলে কারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা বের হয়ে আসবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে হানিফ বলেন, যে কেউ তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে মত প্রকাশ করতেই পারে। তবে কেউ নাম পরিচয় গোপন করে ভূঁয়া আইডি থেকে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে না। যদি এটা কেউ করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন বাক স্বাধীনতা চাই না, যেটা সমাজে হানাহানি সৃষ্টি করে। এমন গণতন্ত্র আমরা চাই না যে গণতন্ত্রের নামে মানুষ পোড়ানোর মত ঘটনাও ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এটি ব্যবহারে আরো সচেতন হওয়া উচিত। আর এর ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও জানা থাকা দরকার।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করেছে, তেমনি পারস্পারিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধও কমিয়ে দিয়েছে।