রাজশাহীতে পরিবেশ-বান্ধব কীটনাশক পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

622

রাজশাহী, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা তাদের রোপন করা ধানক্ষেতে পরিবেশ-বান্ধব কীটনাশক ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে উঠছেন।
বর্তমান মৌসুমে এখানকার অনেক কৃষক ‘পার্চিং মেথড’ প্রয়োগ করছেন, রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে এই পদ্ধতি বিশেষ অবদান রাখছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জেলা ও উপজেলা কার্যালয় এই পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য কৃষকদের কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছেন।
পবা উপজেলার কর্ণহার গ্রামের কৃষক জাইদুর রহমান ৩৫ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। তিনি পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে বহুমুখী উপকার পাওয়া যায়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনজুর-ই-মাওলা বলেন, আলোর-ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ক্ষতিকর পোকা-মাকড় বিশেষ করে ব্রাউন প্লান্ট হোপার (বিপিএইচ) দমনের পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতি।
রোপা আমন ক্ষেতে পরিবেশ-বান্ধব ‘আলোর –ফাঁদ’ পদ্ধতি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের মধ্যে পোকা নিয়ন্ত্রণে এই পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, স্বল্প ব্যয়ের এ পদ্ধতি জমির পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। কৃষকরা এই পদ্ধতিতে উপকৃত হওয়ায় তারা ক্রমশ এতে ঝুঁকছেন।
ডিএই কর্মকর্তারা আমন ক্ষেত থেকে ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমন করে ফসল রক্ষায় এ অঞ্চলে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
ডিএই’র আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৪,০৭৩ টি আলোর-ফাঁদ স্থাপন করেছি এবং ১০ হাজারেরও বেশি কৃষককে এ ব্যাপাওে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
কৃষকরা রাতে ‘আলোর-ফাঁদ’ ব্যবহার করেন। কেরোসিন বাতি, চার্জার লাইট বা বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে আলো তৈরি করা হয় এবং ডিটারজেন্ট বা কেরোসিন মিশ্রিত পানির একটি পাত্র আলোর নিচে রাখা হয়। এই আলো পোকা-মাকড়দের আকর্ষণ করে এবং পাত্রে পড়ে গিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটে।