ইউএই-তে ফ্লাড লাইটে ব্যাটিং করা কঠিন : সরফরাজ

236

দুবাই, ১৩ সেপ্টেম্বর. ২০১৮ (বাসস) : আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের চতুর্দশ আসরের। এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশই এখানে খেললেও পাকিস্তানের জন্য এটি এখন হোম ভেন্যুতে পরিণত হয়েছে। তারপরও এখানে ব্যাটিং করাটা মোটেই সহজ মনে করছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
বিভিন্ন সময়ে ইউএইতে দলের নেতৃত্ব দেয়া পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেছেন, আসন্ন এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে এখানে ফ্লাড লাইটের অধীনে ব্যাটিং করাটা কঠিন হবে। তার মতে, এখানকার আর্দ্র কন্ডিশনে ফাস্ট বোলাররা অধিক সুয়িং পাবে। তবে স্পিনারদেরও একটা ভূমিকা থাকবে।
প্রায় এক যুগ ধরে নিজেদের হোম ম্যাচগুলো ইউএইতে খেলে আসছে পাকিস্তানে। আবুধাবি ও দুবাই ভেন্যুতে টেস্ট ক্রিকেটে দলটি ভালো করলেও ওয়ানডে সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে দলটিকে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ দুই ভেন্যুতে ৪০টি ওয়ানডে খেলে মাত্র ১৭ ম্যাচে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আবুধাবি এবং দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এশিয়া কাপ।
৩১ বছর বয়সী সরফরাজ ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আবহাওয়া খুই গরম। ফাস্ট বোলাররা আর্দ্র অবস্থায় ভালো স্যুয়িং পাওয়ায় এ ধরনের কন্ডিশনে ব্যাটিং করাটা কঠিন।’
‘আমরা কন্ডিশন বুঝতে চেষ্টা করবো। ফ্লাড লাইটের অধীনে আমরা দুই/তিন সেশন অনুশীলন করেছি। গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিটি দল অবশ্যই টস জিতলে আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর দাঁড় করাতে চাইবে। ’
ইউএই’র পিচে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে পাকিস্তানের এবং স্পিনাররা অবশ্যই একটা ভূমিকা রাখবে মনে করছেন সরফরাজ।
তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিচগুলো তুলনামূলক বেশি মন্থর। সুতরাং স্পিনারদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’
উপমহাদেশের পিচে স্পিনাররা সব সময়ই একা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত ফাস্ট বোলাররা ভালে াকরে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুবাইতে ২৩ ওয়ানডে ম্যাচে ফাস্ট বোলাররা নিয়েছেন ১৭৭ উইকেট, স্পিনাররা ১৩২। আবুধাবীতে ৩৭ ওয়ানডেতে ফাস্ট বোলারদের শিকার ৩২৪ পক্ষান্তরে স্পিনারদের ১৯০ উইকেট।
যার অর্থ আগ্রাসী ফাস্ট বোলাররা একটা পার্থক্য গড়ে দেবেন। মুস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেনের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করবে বাংলাদেশ।
স্পিন বিভাগে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এ দুই তারকা স্পিনার থাকায় পিচ থেকে টার্ন পাওয়ার আশা করছে টাইগাররা। এ ছাড়া সাকিব, মেহেদির ব্যাক-আপ হিসেবে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু।