বাসস ক্রীড়া-১১ : নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চম বারের সাফের ফাইনালে মালদ্বীপ

215

বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-সাফ-নেপাল-ভুটান
নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চম বারের সাফের ফাইনালে মালদ্বীপ
ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : সাফে কখনোই নেপালের কাছে হারের রেকর্ড নেই মালদ্বীপের। এর আগে ছয় বারের লড়াইয়ে চার বার জয় আছে দ্বীপ দেশটির। আর দুই ম্যাচ ছিল ড্র। আজও সেই ধারা অক্ষুন্ন রেখে পঞ্চম বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার বিশ^কাপ খ্যাত সাফ সুজুকি কাপ ফুটবল আসরে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মালদ্বীপ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা পেলেও সেবার ট্রফি জেতা হয়নি মালদ্বীপের । ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ঐ ফাইনালে টাইব্রেকার শুট আউটে ৩-১ গোলে হারে তারা।
সবচেয়ে বড় কথা হল এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের কোন ম্যাচেই জয় পায়নি মালদ্বীপ। শুধু মাত্র শ্রীলংকার সঙ্গে ড্র করেই লটারী ভাগ্যের সহাযতা নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে দলটি। আত্মবিশ্বাসী কোচ সেগার্ট পিটারের দলটি আজ ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ম্যাচ শুরুর ৩০ মিনিট আগে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে মাঠ পিচ্ছিল হয়ে উঠেছিল। ফুটবলাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিলেন না।
তারপরও গ্রুপ পর্ব থেকে ভাগ্যের সহায়তায় শেষ চারে আসা মালদ্বীপ এগিয়ে যায় ম্যাচের ৯ মিনিটেই। গোলের নায়ক অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ে বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিক নেন। নেপালি ডিফেন্ডার সুমন আরিয়াল বল প্রতিহত করতে গিয়েও পারেননি। তার দু’পায়ের মাঝ দিয়ে বল জালে প্রবেশ করে (১-০)। বোকা বনে যান গোলরক্ষক কিরন কুমার। হয়তো ভেবেছিলেন সুমন দলকে বিপদমুক্ত করতে পারবেন।
কিছু সময় পর আবারো অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়। ২৬ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ চলার পর ম্যাচ কমিশনার চেং লিয়ান চেং বজ্রপাত বিরতি দেন। দীর্ঘ ৩৪ মিনিটের বিরতির পর ফের মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে হতাশ হতে হয় নেপালকে। দারুণ একটি আক্রমণ রচনা করেছিল তারা। কিন্তু অধিনায়ক ভরত খাওয়াজের নেয়া শটটি খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করে তাদের হতাশার চাদড়ে ঢেকে দেন ইউসুফ হোসাইন। দুই মিনিট পর আরো একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাল গোপালের শিষ্যরা। সে যাত্রায়ও ব্যর্থ তারা। বক্সের ভেতর থেকে বিমলের আড়াআড়ি শটটি ছোট বক্সের ভেতর থেকেও ঠিকমতো প্লেস করতে পারেননি অধিনায়ক ভরত খাওয়াজ।
দ্বিথীয়ার্ধে মাঠে নামার মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই নেপালের ভিত আরো একবার কাঁপিয়ে দেয় মালদ্বীপ। ইব্রাহিম হোসেন পাস থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাঁটিয়ে গোলরক্ষক কিরন কুমারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন হাসান। কিন্তু তার নেয়া শট আর জালের ঠিকানা পায়নি। গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে যায়। অথচ ঠান্ডা মাথায় শট নিলে ব্যবধান দ্বিগুন করে ফেলতে পারতেন এ ফরোয়ার্ড।
নেপাল গোল পরিশোধ করতে না পারলেও ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে গোলের গ্রাফটা ঠিকই উপরে নিয়ে যায় মালদ্বীপ। গোল করেন ইব্রাহিম হাসান। ডানদিক থেকে বদলী হিসেবে মাঠে নামা আসাদুল্লাহর মাইনাস নেপালের ডিফেন্ডার দিনেশ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বক্সে দাঁড়ানো ইব্রাহিমের পায়ের সামনে এসে যায় বল। ঠান্ডা মাথার জোড়ালো শটে নিশানা ভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড(২-০)। দুই মিনিট পর মালদ্বীপের হয়ে তৃতীয় ও ব্যাক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন ইব্রাহিম (৩-০)।
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৯০৫/স্বব