বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের প্রসারে সরকারের কার্যকর সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে : স্পিকার

266

ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের প্রসারে সরকারের কার্যকর সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি আজ রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৯তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’, ‘১৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক শো -২০১৮’ এবং ‘৩৩তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো -২০১৮’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কনফারেন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিঃ এবং সেমস্ গ্লে¬াবাল’ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
স্পিকার বলেন,দেশে বস্ত্র শিল্পের বিকাশের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মেলার মাধ্যমে এধরনের শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে। দক্ষ মানবশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রুদ্র চ্যাটার্জি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সেমস্ গ্লে-াবারের এমডি মেহেরুন এন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ দেশী বিদেশী উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে উৎসাহিত করে নীতিমালা প্রণয়নসহ কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিপ্ল¬ব ঘটেছে।
তিনি বলেন, ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নে শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি বিগত দশ বছরে দারিদ্রতার হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২শতাংশে নেমে এসেছে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন,গার্মেন্টস শিল্প জিডিপি’তে ১৫শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রতিবছর ৩০বিলিয়ন ইউএস ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সে কারণে পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। নির্ধারিত তিনটি ক্যাটাগরির মানদন্ডের ক্রমধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হবে।
তিনি ২০৪১সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপরও স্পিকার গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করারও আহবান জানান।
এরপর স্পিকার এ আন্তর্জাতিক মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং প্রদর্শনী’র বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।