বাজিস-১২ : লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮ সে.মি. ওপরে, চরাঞ্চল প্লাবিত

138

বাজিস-১২
লালমনিরহাট-চরাঞ্চল প্লাবিত
লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮ সে.মি. ওপরে, চরাঞ্চল প্লাবিত
লালমনিরহাট, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলার অববাহিকার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
সোমবার রাত ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে হলে মঙ্গলবার সকালে পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত তাদের গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন পাউবো কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরো কী পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তার পানিতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অধুনালুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, পার্শ্ববতী কালীগঞ্জ উপজেলার আমিনগঞ্জ, বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের চর এলাকার ৫০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলোও হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাঁধগুলো ভেঙে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়তে পারে। আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মধ্যে পড়েছে মহিষখোচা ও সদরের খুনিয়াগাছ বাগডোরা অংশও। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে।
সদর উপজেলার চর রাজপুর এলাকার কোরবান আলী, আনোয়ার, নবিয়ারসহ অনেক পানিবন্দী বাসিন্দা বলেন, সোমবার বিকেল থেকে পানিবন্দী আমরা। ক্রমে পানি বেড়ে চলেছে।
তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, পানি মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় পানি আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের উজানে থাকা মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/মমআ/১৭১৫/-মরপা