এ বছর সীমান্ত হত্যা নেই বললেই চলে : বিজিবি মহাপরিচালক

1910

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, ‘বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০০১ সালে ৭১ জন, ২০১০ সালে ৬০ জন, ২০১৫ সালে ৪৫ জন, ২০১৬ সালে ৩১ জন, ২০১৭ সালে ২২ জন ও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় মাত্র একজন হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই হত্যার ঘটনা আগামীতে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারবো’।
আজ সোমবার বিজিবি’র সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লীতে অনুষ্ঠিত মহাপরিচালক পর্যায়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্মেলন বৈঠকের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয় জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।
সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজিবি মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
সাংবাদিককের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার যে আদেশ করবে বিজিবি সে আদেশ অনুযায়ী কাজ করবে। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি আমাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হয়।’
তিনি বলেন, সরকার চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিএসএফ ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বিজিবি।’
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধ অস্ত্র আসতে না পারে সেইজন্য আমরা একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের পুরো জনবল সীমান্তে ও আইন শৃংখলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সব ছুটি বাদ দিয়েছি। সেসময় সব ধরনের প্রশিক্ষন ও অন্যান্য কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে যেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া যায় সেজন্য আলোচনা করছি। কারণ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে হলে আমাদের জনবল ভাগ হয়ে যাবে। ফলে তখন আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত যাতে সুরক্ষিত থাকে সেজন্য সহযোগিতা চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরে কোন সন্ত্রাসী ঘাঁটি নেই এবং কোন ক্রমেই অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে দেয়া হবে না।’
তিনি জানান, এর আগে ঢাকায় বিজিবি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী পুলিশের সঙ্গে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে মাদক চোরাচালান বন্ধে দু’দেশ এক মত পোষণ করেছে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তারপরও ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাচার প্রতিরোধে সীমান্তে কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় এখন ইয়াবা অনেকটা কম আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।