সিএনজি-থ্রী হুইলার্স করের আওতায় আসছে

713

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : আগামী বাজেটে সিএনজি অটোরিকশা এবং থ্রী হুইলার্স মোটরবাইক করের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
বৃহস্পতিবার এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে সিএনজি এবং থ্রী হুইলার্স মোটরবাইক মালিকদের কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হবে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কসপ মালিক সমিতি, ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা এন্ড থ্রী হুইলার্স মোটরবাইক ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
সভায় ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা এন্ড থ্রী হুইলার্স মোটরবাইক ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম আলী বলেন, সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি মালিকদের করের আওতায় আনা উচিৎ। একই সাথে সিএনজিকে অ্যাপ ভিত্তিক সেবায় আসতে হবে।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান সিএনজি মালিকদের করের আওতায় আনার কথা জানান।
তিনি বলেন, সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা উচিৎ। অনেকেই বলছেন, বাস ট্রাককে কিভাবে আমরা করের আওতায় আনতে পারি। আগামী বাজেটে সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে। পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি অন্য একটা ব্যবসা দেখিয়ে যাতে কর ফাঁকি দেওয়া না যায়, সেদিকে এনবিআর সতর্ক নজর রাখছে বলে তিনি জানান।
আগামী অর্থবছর সুষম বাজেট করা হবে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আসন্ন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও করের বাড়তি বোঝা যেন ব্যবসায়ীদের ওপর না পড়ে, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।কর এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাড়তি কর প্রদান করতে পারেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনাসমূহ গ্রহণের জন্য এনবিআর একটি কমিটি গঠন করবে-যারা বাজেটের পরেও ব্যবসায়ীদের সাথে বসে প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করতে পারবে। ভাল প্রস্তাবনার প্রেক্ষিত্রে বাজেটের পরেও এসআরও জারির মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসে এনবিআর এই কমিটি গঠন করবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কসপ মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান মিনা মটর সাইকেল রফতানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তার প্রস্তাব করেন। একইসঙ্গে তিনি মটর সাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির যে সুবিধা আছে, সেটা আরো ৫ বছর অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বহাল আছে। আমরা আরো ৫ বছর এই সুবিধা বহাল রাখার দাবি করছি।
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি মটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ এবং টায়ার টিউবের লিভ স্প্রিংয়ের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে।
সভায় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।