বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : রাষ্ট্রপতি

247

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-জ্বালানি
ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি টেকসই উন্নয়ন ও আধুনিক অগ্রযাত্রা ছাড়া অকল্পনীয়। বিদ্যুতের ঝলমলে আলোয় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল জেগে উঠেছে। এ যেনো নতুন যৌবনের ডাক। বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে বিদ্যুৎ অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদায় আসীন করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির গুরুত্ব অপরিসীম।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অব্যাহত রাখতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিগত বছরগুলোতে নতুন অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছানের লক্ষ্যে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, জ্বালানি খাতেও উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত নতুন চারটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। গ্যাসের দৈনিক গড় উৎপাদন ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও জ্বালানি বহুমুখীকরণের জন্য কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন বাংলাদেশের বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করবে।
বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন যেমন ব্যয়বহুল তেমনি তা সময়সাপেক্ষ। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাই এই মূল্যবান সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ জনগণকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধসহ সাশ্রয়ী ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’-এর সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৭১০/-কেএমকে