এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে দর্শকদের মুগ্ধ করছে পারফর্মেন্স আর্ট

292

ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকায় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে দর্শক-শ্রোতাদের বিপুলভাবে মুগ্ধ করছে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের পারফর্মেন্স আর্ট প্রদর্শনী। বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা নানা বিষয়, উপকরণ এবং নিজেদের শিল্প গুণের উপস্থাপনায় উৎসবকে উপভোগ্য করে তুলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী প্রীচ আর সান যুদ্ধবিরোধী পারফরমেন্সে বেশ কয়েকটি কসরত উপস্থাপন করেন। তার উপস্থাপনা দেখার জন্য জড়ো হয় বিপুলসংখ্যক দর্শক। তাদেরই একজন ঢাকা চারুকলা ইন্সটিটিউটের ছাত্র আহসান কবীর বাসসকে বলেন, পারফরমেন্স আর্ট যে সরাসরি দর্শককে নানা বিষয়ে মাতিয়ে তোলে যুক্তরাষ্ট্রের এই শিল্পী তা দেখিয়ে দিলেন। দুই হাত, অঙ্গভঙ্গি ও মুখের কারুকাজে যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানুষকে তিনি জেগে ওঠার আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী ‘১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী’র অংশ হিসেবে এই প্রদশর্নী অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা ভবনের গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশসহ ২৬টি দেশের পারফরমেন্স আর্ট শিল্পীরা এতে অংশ নিচ্ছেন। প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। একাডেমি এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে এবারই প্রথম পারফরমেন্স আর্ট আয়োজন করেছে। এতে বাংলাদেশের ১৬জন শিল্পীসহ বিভিন্ন দেশের ২৯জন শিল্পী পারফরমেন্স আর্টে অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের তরুণ শিল্পী সুমন মাহবুব ‘ সময়ের ক্রীতদাস ’শীর্ষক পারফরমেন্সে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন ঘড়ির কাছে মানুষ কিভাবে প্রতিনিয়ত বন্দি থাকেন। আবার সময় মানুষকে কতটা গতিশীল করে। আবার সময়কে অবহেলা করলে মানুষ কিভাবে বিপদে পড়ে।
বাংলাদেশের শিল্পী সুমনা আখতার ‘বিষন্ন কাঁথা ’ শীর্ষক পারফরমেন্সে তুলে ধরেন বাঙালি সংস্কৃতিকে। কাঁথার ইতিহাস, কাঁথা কবে থেকে বুনন শুরু হয়। কেন কাঁথা তৈরি হয়েছে, বাঙালি সংস্কৃতি এই শিল্প উপকরণ বর্তমান সময়ে কতটা জরুরী, এ সব বিষয়গুলো তিনি তার পারফরমেন্সে উপস্থাপন করেন। শিল্পী সুমনা বাসসকে জানান, বাঙালি সংস্কৃতির এই শিল্প উপকরণটি অত্যন্ত পুরণো। বিদেশীরা এর গুরুত্ব বুঝেন না। বিশ্বের অসংখ্য শিল্পীরা এসেছেন এই উৎসবে। তাদের সামনে এই পারফরমেন্স করতে পেরে ভাল লাগছে।
পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শনে অংশ নিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পী ঝিম চিউল, পার্ক ইয়াং জোয়া, স্পেনের অ্যাবেল এ্যাজকোনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রীচ আর সান, জার্মানীর ম্যারিটা বুলম্যান, জাপানের ম্যাডা ইউজুরো, উকি ক্যুয়েরিসি, তুরকের লীম্যান স্যাভদা, অষ্ট্রেলিয়ার মার্সিয়া গ্যারিকা, বাংলাদেশের শিল্পীরা হচ্ছেন, সুমনা আখতার, সুমন মাহাবুব, জয়দেব ব্যানার্জী ,শুভ সাহা, ফারাহ নাজ, এমরান সোহেল, জাহিদ হোসেন, জুয়েল এ রব, সরকার নাসরিন, আবু নাসের রবি, সৈয়দ আবির, অর্পিতা সিনহা, ইয়াসমিন জাহান নুপুর, সঞ্জয় চক্রবর্তী প্রমুখ।