নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে পাকিস্তানের শুভ সূচনা

400

ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : হিমালয় কন্যা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ সুজুকি কাপে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমসেও নেপাল অনূর্ধ ২৩ দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল পাকিস্তান। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাফ গেমেসের উদ্বোধনী ম্যাচেও নেপাল জাতীয় দলকে একই ব্যবধানে পরাস্ত করলো পাকিস্তান জাতীয় দল। এই জয়ের ফলে এ’ গ্রুপ থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করলো দীর্ঘ দিন ফুটবল থেকে দূরে থাকা পাকিস্তান।
শুরু থেকেই মাঠে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নেপালের খেলোয়াড়রা। চতুর্থ মিনিটে পাকিস্তান গোলরক্ষকের পরীক্ষাও নিয়ে নেয় তারা। লক্ষহীন ওই আক্রমণ থেকে পাকিস্তান শিবিরের সামনে জটলার সৃষ্টি হলে দক্ষতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল গ্রীবে নিয়ে নেয় পাকিস্তানের গোল রক্ষক ইয়ুসুফ ইজাজ।
তবে এরই ফাকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে প্রতিআক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। মধ্যমাঠে নেপালীদের দাপট থাকলেও তাদের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ঝটিকা আক্রমণ রচনা করে পাকিস্তান। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে নেপালের ডি বক্সে বল নিয়ে অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন ঢুকে পড়লেও শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি।
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে ঠিকই সফলতা পায় পাকিস্তান। আগের মিনিটে নেপালের ডি বক্সে উড়ে আসা বল পাকিস্তানী মিডফিল্ডার মোহাম্মদ রিয়াজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময় তাকে অবৈধভাবে বাঁধা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন নেপালী ডিফেন্ডার অধিনায়ক ভিরাজ মহাজন। তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন কর্তব্যরত জর্ডানের রেফারি এম হাসান মাহমুদ আরাফাহ। পেনাল্টি থেকে গোল করে পাকিস্তানকে লীড এনে দেন স্ট্রাইকার হাসান নাভিদ বশির।
৩৯তম মিনিটে প্রতি আক্রমণে যায় নেপাল। কর্নার থেকে অঞ্জন বিসতার ক্রসের বলে ডিফেন্ডার সুমন আরিয়াল হেড করলে বলটি পাকিস্তানের গোল রক্ষকের হাতে জমা পড়ে। ৪৫তম মিনিটে কর্নার থেকে নেপালীদের ফের গোল পরিশোধের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন পাকিস্তানী গোলরক্ষক ইয়ুসুফ ইজাজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে নেপাল। ৪৮তম মিনিটে ডিফেন্ডার আদিত্য চৌধুরীর ফ্রি কিকের ক্রস থেকে বিমল গার্তি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দুর্বল শট নিলে বল গোল রক্ষকের হাতে চলে যায়।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্যে চলতে থাকা ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে মধ্য মাঠে ফাঁকায় বল পেয়ে যান পাকিস্তান বদলী খেলোয়াড় সাদুল্লাহ। বল নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে নেপালী ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে পরাস্ত হন নেপালী গোলরক্ষক কিরন কুমার। কিন্তু বলটি গোলবারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
এর সুযোগ নিয়ে ৮২তম মিনিটে গোলটি পরিশোধ করে দেয় নেপাল। মাঠের ডান দিক থেকে কর্নারের ক্রসের বলে সাইড হেডের মাধ্যমে গোলপোস্টের সামনে পাঠান নেপালের বদলী খেলোয়াড় নিরঞ্জন খাড়কা। এ সময় পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থ স্ট্রাইকার বিমল ঠান্ডা মাথায় নিচু শটে জালে জড়িয়ে দেন বল (১-১)।
ম্যাচের ইনজুরি সময়ে অসাধারণ একটি গোলের মাধ্যমে ফের লীড নিয়ে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ৯১ (৯০+১)তম মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে বদলী খেলোয়াড় মুহাম্মদ আলীর ক্রসের বল ডি বক্সেই সতীর্থ পাকিস্তানী সাদুল্লাহ হেড করে নেপালী গোল বারের সামনে থাকা আরেক সতীর্থ মোহাম্মদ আলীর কাছে পাঠিয়ে দেন। আলীও ওই বল দর্শনীয় হেডে নেপালের জালে জড়িয়ে দিলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।