সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো দৃঢ় করার আহবান রাষ্ট্রপতির

423

ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে জাতীয় অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগাতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২ সেপ্টেম্বর শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রচলিত বিশ্বাস মতে দ্বাপর যুগের শ্রাবণ মতান্তরে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। যেখানে অন্যায় অবিচার ও ধরাধামকে গ্রাস করেছে সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম মতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় তিনি যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ বৎসাসুর, অঘাসুর, বকাসুর প্রভৃতি অপশক্তিকে বিনাশ করেন। মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেন। তিনি ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক ও সমাজসংস্কারক। কৃষ্ণের প্রেমিক রূপের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বৃন্দাবন লীলায়, যা বৈষ্ণব সাহিত্যের মূল প্রেরণা।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই বাংলাদেশের মহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে। মানবকল্যাণ সব ধর্মের মূল বাণী।
তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী’ উৎসবের সাফল্য কামনা করেন।