চাঁদপুরে ৩৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করেছে এলজিইডি

269

চাঁদপুর, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (বাসস) : শিক্ষার মূল ভিত্তিই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। এক সময়ে বিদ্যালয়ের অভাবেও পড়া-লেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক শিশু। পাশপাশি অর্থ সঙ্কটও ছিলো। পরিবারের মাঝে ছিলো দারিদ্র্যতা। কিন্তু এখন দেশের সার্বিক চিত্র পাল্টেছে। নাগরিক সুবিধাগুলোর সমান সূচকে সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) গত ১০ বছরে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ৩৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেছে।
চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানাযায়, ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ৩৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ভবন, পুনঃনির্মাণ ও ভবন সম্প্রসারণের কাজ ছিলো। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর এসব বিদ্যালয়গুলো দেখতে প্রায় একই রকম ডিজাইনের। টয়লেট ও করিডর সুবিধা রয়েছেন ভবনগুলোতে। তবে কোন কোন স্থানে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি না থাকায় ভবন নির্মাণ কাজ দেরি হয়েছে এবং বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় আরো ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম. মুজিবর রহমান জানান, সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ শিশু উপস্থিতি নিশ্চিত এবং আনন্দময় শিক্ষা শৈশবের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করেছেন। চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ৩৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে, এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।এছাড়াও বিদ্যালয়বিহীন গ্রামেও নতুন বিদ্যালয় নির্মাণ হয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী কক্ষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সারাদেশে প্রাইমারী ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (পিটিআই) ভবনসমূহ নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় আরো ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।