বাজেটে মানব পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনায় যথাযথ অর্থ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব

984

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২১ (বাসস): মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় বাজেটে অর্থবরাদ্দের জন্য নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড-এর সহযোগিতায় আশ্বাস প্রকল্পের আওতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, এ্যাটসেক বাংলাদেশ ও ইনসিডিন বাংলাদেশ যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আসন্ন ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক বাজেটে মানব পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনায় যথাযথ অর্থ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব উত্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আসন্ন বাজেটে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে অর্থ বরাদ্দের গুরুত্ব উল্লেখপূর্বক একটি যৌথ বিবৃতি/পিটিশন প্রস্তুত করেন। এতে উপস্থিত সবাই তাদের সমর্থন জ্ঞাপণ করেন এবং পরবর্তীতে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যুগ্ম-সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান উপস্থিত থেকে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি সম্বলিত নাগরিক সমাজের উত্থাপিত এই যৌথ বিবৃতি/পিটিশন-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই বিবৃতি বা পিটিশনে উল্লেখিত দাবিগুলো তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তুলে ধরার আশ্বাস দেন। উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্বাস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিতের প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদানের মাধমে অনুষ্ঠাটি শুরু হয়। ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক একেএম মাসুদ আলী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ঢাকাস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, মোঃ নাদিম রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বাংলাদেশ সরকারের মানব পাচার বিরোধী কার্যক্রমের সাথে সুইজারল্যান্ড-এর সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চলমান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
‘বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী তার আলোচনায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃদেশীয় পাচার প্রতিরোধ ও ভিকটিমকে আইন সহায়তা প্রদানে পুলিশ, প্রসিকিউটর ও বিচারিক ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অংশগ্রহনকে গুরুত্ব দেন।
তিনি বিদেশে আটকাপড়া পাচারের ভিকটিমদের সমস্ত সহায়তা প্রদানের জন্য ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ এর সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখেন। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে স্থানীয় পর্যায়ের মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির অংশগ্রহনের ওপরও জোর দেন তিনি।
অংশগ্রহনকারি অন্যরা মনে করেন, মানব পাচার প্রতিরোধ, ভিকটিমকে সুরক্ষা ও আইনগত সেবা প্রদানে সরকারী ও বেসরকারী যৌথ উদ্যোগই পারে বাংলদেশ থেকে মানব পাচারের মত ঘৃণ্য অপরাধকে নির্মূল করতে।