বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে কিছু করার নেই : ওবায়দুল কাদের

574

সিলেট, ৩১ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আওয়ামী লীগের তাতে কিছু করার থাকবে না।
নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।
সিলেট সার্কিট হাউজে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, ইভিএম ব্যবহার দেশের নির্বাচন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণার তৈরি করবে।
মত বিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গির কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দু’টি ইভিএমের কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে। আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই নানারকম অভিযোগ দিচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে বিএনপির চার দফা শর্ত প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের শক্তি, সামর্থ্য আছে, জনগণের প্রতি আস্থা আছে, জন সমর্থনের ব্যাপারে যারা কনফিডেন্ট, তারা এতো শর্ত আরোপ করে না।
দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নিলে ‘দেশের মানুষ’ কোনো নির্বাচন হতে দেবে নাÑ বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭০-এর নির্বাচনের ইতিহাস টেনে বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধু কোনো শর্ত দেননি, কারণ জনসমর্থনের প্রতি তার গভীর আস্থা ছিল। আর বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতিও সে রকম নয়।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও বৃহশপতিবারের সভা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনেও গণতন্ত্র আছে। নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার অধিকার তার আছে। এর জন্য জটিলতা তৈরি হবে কেন? একজনের মত যেমন আছে, গণতান্ত্রিক ধারায় বাকি চারজনেরও মত আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করছি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম ভূমিকা রাখবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেওয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না।