পোশাকের মূল্য বাড়াতে বিদেশী ক্রেতাদের প্রতি ব্যবসায়ীদের আহবান

606

ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : পোশাক শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি এবং কারখানার কর্মপরিবেশের অধিকতর উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ক্রেতাদের পণ্যের মূল্য বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক খাতে রানা প্লাজা পরবর্তী রুপান্তর-সিপিডি গবেষণা ফলাফল’ বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস,বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, গার্মেন্টস ওর্য়াকার ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের সভাপতি এডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা ফলাফল তুলে ধরেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
রেহমান সোবহান তার বক্তব্যে বলেন,পোশাক ক্রেতা বিশেষ করে বড় বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। ক্রেতা এবং উদ্যোক্তা মিলে মুনাফার বড় অংশ নিয়ে নিচ্ছে। এখানে ন্যায্যাতা সৃষ্টি করতে হবে।এর জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের পাশাপাশি বিদেশী ক্রেতাদের পণ্যের মূল্য বাড়াতে হবে। কেননা তারা অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অনেক কম মূল্যে পোশাক কিনছে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন,রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর দেশের প্রায় ১২’শ কারখানা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানায় রূপান্তর ঘটেছে। কর্মপরিবেশের উন্নয়নের পাশাপাশি শ্রমিকদের মর্যাদা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। অথচ বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশী পোশাকের মূল্য বাড়েনি বরং অনেকক্ষেত্রে কমেছে। তিনি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য বিদেশী ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশের পোশাক খাতের সম্প্রসারণে ব্যবসায় পরিবেশ আরো সহজ ও উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, পোশাক খাতের রফতানি আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একে ৫০ বিলিয়নে উন্নীত করতে চাই। এটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। তাই রফতানি আয়ের এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস বলেন,রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর অ্যাকর্ড-এ্যালায়ন্সের শর্ত মোতাবেক অধিকাংশ কারখানা এখন শতভাগ কমপ্লায়েন্ট। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারও ফায়ার সেফটি, অবকাঠামো এবং কারখানার অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে কাজ করেছে। কিন্তু কাঙ্খিতভাবে বাংলাদেশী পোশাক পণ্যের মূল্য বাড়েনি। তিনি পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য বিদেশী ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।