বিএনপিই এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিল : সেতুমন্ত্রী

616

ঢাকা, ৩ মে, ২০২১ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেনা তুললেও বিএনপিই এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ধারক ও বাহক। বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি।
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
বিএনপি নিজেদের শাসনামলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, তাদের আমলে তারা দুর্নীতিবান্ধব ও দুর্নীতি সহায়ক ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন তারা তাদের সেই ব্যর্থতা ও দুর্নীতি ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা কল্পিত অভিযোগ হাজির করে।’
করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে তা বলা যায় না। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন কারণ নেই।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দুরত্ব ও শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, যারা এই অর্থ বিতরণে সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিলো এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে এবার এধরণের অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।
গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ চলবে, এবং কোন ভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন গাড়ী ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবানুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।