ভারত মহাসাগরীয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

337

ঢাকা, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিশ্বায়ন বিরোধী ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ প্রতিহত করতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে একতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন তৃতীয় বারের মতো গত ২৭ ও ২৮ আগস্ট দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সিংগাপুর আয়োজক সংগঠেেনর পার্টনার। পূর্বের দুটি সম্মেলন হয়েছে সিংগাপুর ও শ্রীলংকায়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের পক্ষে সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন। ষাটের অধিক দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশিষ্টজনেরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশে পরিকল্পনামন্ত্রী ছাড়াও শ্রীলংকার যুব মন্ত্রী সাগালা বাতানায়েকে, মরিশাসাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিতানাহ লুচিমিনারাইডো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল-জিউওদি বক্তব্য দেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, যখন বিশ^ একটি বিশ^ায়ন বিরুদ্ধ ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’-এর হুমকীর সম্মুখীন, তখন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে এই সম্মেলন আয়োজন জরুরী ছিল। তিনি আমেরিকার ১৯২৯ সালের স্মুথ হলির রক্ষণশীল ট্যারিফ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে বলেন, যেখানে ২০ হাজারের বেশি পণ্যের উপর আমেরিকার কৃষি ও ব্যবসাকে রক্ষার জন্য শতকরা ৫০ ভাগের উপরে শুল্ক আরোপ করা হয়। পরিণামে এটি তখন বিশ^ বাণিজ্যকে ৬৬ শতাংশ সংকোচন করে সারা বিশে^ মহামন্দা সৃষ্টি করে।
মন্ত্রী ভারত মহাসগরের অঞ্চলের সকল দেশকে বাণিজ্য যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ বাণিজ্য পরিধি বৃদ্ধির পরামর্শ প্রদান করেন। যাতে করে বিশ^ায়নের অস্থিত্ব টিকে থাকবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই একসাথে চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন,ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি ও সামাজিকসহ বহুবিধভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু এই সম্পদ তখনই প্রকৃত সম্পদে পরিনত হবে যখন সম্পদের যথার্থ ন্যাসঙ্গত ও দক্ষতার সাথে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।