বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : জনকল্যাণের জন্যই রাজনীতি, ভোটের জন্য নয় : শেখ হাসিনা

219

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-চক্ষু হাসপাতাল-ভাষণ
জনকল্যাণের জন্যই রাজনীতি, ভোটের জন্য নয় : শেখ হাসিনা

চক্ষু চিকিৎসার এই প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক চক্ষু রোগী, রেটিনোপ্যাথি, কিশোর চক্ষুরোগ, চোখের আঘাতসহ অন্যান্য চক্ষু রোগ সনাক্ত করা এবং এর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হবে এসব সেন্টারে। এরপর আরো উন্নত সেবার জন্য তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।
চক্ষু রোগে আক্রান্তদের সচেতনতা ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি চক্ষু চিকিৎসকসহ এ সেবায় জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি অন্ধজনে দাও আলো। এর চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, এক জন মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবে, সে তার আপনজনকে দেখবে, এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখবে, এটা অনেক বড়, মানবতার কাজ।
এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে যাওয়া মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব সময় মনে রাখি যে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য। মানুষের সেবা করাটাকে আমি কর্তব্য হিসেবে নেই।
তিনি বলেন, নতুন নতুন যেসব হাসপাতাল হচ্ছে সেগুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং নার্স আছে। তারা ভালো মানের সেবা দিতে পারছে। হাসপাতালের পাশাপাশি আরো ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ নার্স তৈরির কাজ চলছে। দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এখন বিদেশ থেকে নার্স এবং ডাক্তারদের ট্রেনিং দিয়ে আনা হচ্ছে।
প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আরও মানসম্মত হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে বলেন জানান তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ করেছি। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। দুটো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আরো একটা করার পরিকল্পনা আছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে আমরা একটা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার ৯ মাসের মাথায় একটি সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি প্রদেশকে একটি দেশের রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বেশি সময় না পেলেও রাষ্ট্রের এমন কোন বিষয় নেই যে বিষয়ে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি একথা উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু তনয়া।
তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখলাম প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে, যা ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে।’
বাসস/এএসজি-এফএন/১৫৪০/এমএসআই/আরজি