বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

367

ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শের নাম। বঙ্গবন্ধুকে যত বেশী জানা যাবে তত বেশী উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কমিটেড হওয়া যাবে। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রামে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। চলমান অগ্রগতির ধারাবাহিকতা না থাকলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যিনি সুনির্দিষ্টভাবে একটি ভূখ-কে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার ফসল এই উপমহাদেশের একমাত্র ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু চিরকাল শোষিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি এ অঞ্চলের বাঙালিদের খাঁটি প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক দেশটি প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগকে পুর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী মুসলিম লীগকে আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দূরদর্শী চিন্তার সাহসী সূচনা।
মন্ত্রী ১৯৬৬ সালে ঢাকা কলেজে ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে নিজের সম্পৃক্ততার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘জাতির পিতার একজন ছাত্রকর্মী হিসেবে কাজ করে নিজেকে ধন্য মনে করছি’।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চিরকাল শোষিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে ১৯৭৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাথে বহির্বিশে^র কানেকটিভিটি স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার না করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা ভাবাই যেতোনা।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তৃতা করেন।