আল জাজিরার কাছে ম্যাচ ফিক্সিং প্রামান্যচিত্রের ফুটেজ চেয়েছে আইসিসি

401

সিডনি, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : সম্প্রতি ক্রিকেট জগতে ঘটা দুর্নীতির একটি ফলো-আপ ডকুমেন্টারি তৈরি করছে টিভি চ্যানেল আল জাজিরা। বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) টিভি চ্যানেলটির কাছে থাকা অসম্পাদিত ফুটেজগুলো চেয়েছে।
কাতার ভিত্তিক চ্যানেলটি এই বছরেরর প্রথমদিকে বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের জড়িত থাকার একটি ‘ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সার’ ডকুমেন্টরি তৈরি করে।
আল জাজিরা একটি অনুষ্ঠানে ভারত কেন্দ্রীক এক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করে। ফিক্সিং সিন্ডিকেট হিসেবে বর্ণনা করে কুখ্যাত ডি কোম্পানি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছিল।
আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘দ্বিতীয় ডকুমেন্টরি নিয়ে আমরা বেশ সর্তক রয়েছি। সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছে মুনাওয়ার এবং ভারতের জুয়াড়িরা। আমরা বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করতে চাই। আগের কিংবা সমসাময়িক যে কোন অভিযোগ গুরত্বসহকারে গ্রহণ করা হবে।’
আল জাজিরার কাছে প্রমান পেশ করার আহ্বানও জানান আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান মার্শাল।
তিনি বলেন, ‘অসম্পাদিত ফুটেজ দিয়ে আমাদের ডকুমেন্টরীর জন্য একটি ছবি নির্মান করতে হবে যাতে তদন্তটি যথাযথ ও সম্পূর্ণভাবে করা সম্ভবপর হয়।’
মার্শাল বলেন, ‘মূল প্রামাণ্য চিত্রে দেখানো সবাইকেই আমরা বের করতে পেরেছি এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলের সাথে কথা হয়েছে। এমনকি যারা আমাদের দুর্নীতিবিরোধি আইনের সাথে যুক্ত, তারাও আছেন।’
যাইহোক, অনিল মুনাওয়ার এখনও রহস্যের মধ্যেই আছেন। অনুষ্ঠানে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তবে এখনো তার সম্পর্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে অনুসন্ধান ও ইমিগ্রেশন সোর্সের কাছ থেকে কিছুই জানা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দাবী ছাড়াই আমরা কর্মসূচি করতে সক্ষম হয়েছি এবং অন্যান্য দিকগুলির দিকে নজর দিতে পেরেছি। তদন্ত শেষে আমরা পুরোপুরিভাবে আপডেট প্রদান করতে পারবো।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায়, ২০১১ সাল থেকে ম্যাচ ফিক্সিং-এর সাথে জড়িত বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি ফলো-আপ প্রোগ্রাম আল জাজিরা করেছে। কিন্তু ঐ দাবির কোন বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া যায়নি।
তারা বলে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আল জাজিরার দাবিগুলো পর্যালোচনা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইন্টিগ্রিটি ইউনিট। একটি সুপরিচিত অপরাধমূলক উৎস, আল জাজিরার দেয়া সীমিত তথ্য, আমাদের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের কোন দুর্নীতি চিহ্নিত করা হয়নি।’